এইমাত্র
  • ৫ দিনের ব্যবধানে ২ জাহাজে আগুনে নাশকতার সম্ভাবনা দেখছে শিপিং করপোরেশন
  • পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের সংঘর্ষ, নিহত ১২
  • সিনেমা হলে টিকিট বিক্রি করলেন সৃজিত-দেব
  • দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বন্যায় ক্ষতি সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা: সিপিডি
  • আজ ‘জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন’ দিবস
  • ঠাকুরগাঁওয়ে যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
  • শেকৃবি উপাচার্যকে দেখতে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে দুই উপদেষ্টা
  • প্রেমের গুঞ্জনের পর তিশা আউট, পূজা ইন
  • রাজধানীর ২৫৭ মণ্ডপে হবে দুর্গাপূজা
  • বন্যা-ভূমিধসে ভারতের মেঘালয়ে ১০ জনের মৃত্যু
  • আজ রবিবার, ২১ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৬ অক্টোবর, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    শার্শায় মুখি কচুর জমজমাট পাইকারি হাট

    মো. জামাল হোসেন, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৮ জুলাই ২০২৪, ০৩:০৭ পিএম
    মো. জামাল হোসেন, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৮ জুলাই ২০২৪, ০৩:০৭ পিএম

    শার্শায় মুখি কচুর জমজমাট পাইকারি হাট

    মো. জামাল হোসেন, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৮ জুলাই ২০২৪, ০৩:০৭ পিএম

    যশোরের সবচেয়ে বড় ও পাইকারি মুখি কচুর হাট শার্শা উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের বাসাবাড়ি। এই হাটে প্রতিদিন দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত লাখ লাখ টাকার মুখি কচু বিক্রি করেন কৃষকরা। কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য তারা সরাসরি হাটে তোলেন।

    পাইকারি দামে বিক্রি করেন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে। এখানকার টাটকা কচু ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার চাহিদা মেটায়।

    জানা গেছে, বাসাবাড়ি বাজারের উত্তর-দক্ষিণ ও পূর্ব পশ্চিম দিকে রাস্তার দুই পাশে কৃষকরা শত শত বস্তায় তাদের চাষের কচু নিয়ে বসে আছেন ক্রেতা দেখানোর জন্য। হাঁকে ডাকে দাম মিললেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। পুরো বাজারটি কচুতে জমজমাট বা পরিপূর্ণ।

    কচু বিক্রি করতে আসা নজরুল ইসলাম নামে কৃষক জানান, উপজেলার সেরা কচু বিক্রির হাট এটি। এখানে ভালো দামে কচু বিক্রি করতে পারেন। কৃষকরা সরাসরি পাইকারি দামে কচু বিক্রি করে ভালো লাভবান হন। তাছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো।

    আরেক চাষী আবু তালেব জানান, পাশের উপজেলা ঝিকরগাছা থেকে কচু বিক্রি করতে আসছি। বাসাবাড়ি হাটে বাইরের ব্যবসায়ীরা থাকে এবং প্রচুর চাহিদা থাকে। যার ফলে কচু বিক্রির সাথে সাথে আমাদের টাকাও পেয়ে যাই।

    আরও কয়েকজন চাষী জানান, গত চার পাঁচ বছর এখানে কচু বিক্রি করতে আসেন। হাটে বাড়তি কোনো ঝামেলা নেই। কখনো কচু বাড়িতে ফেরত নিতে হয় না। এ হাটে আসলে বিক্রি হয় এবং দামও ভালো পাওয়া যায়। বর্তমান ভালো মানের কচু পাইকারি দাম দিচ্ছে ৫৩-৬০ টাকা কেজি দরে। তবে কখনো কম বেশি হয়।

    এদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, সরাসরি কৃষকদের বাছাইকৃত কচু সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। এ হাটে উপজেলার সকল এলাকার চাষীরা কচু বিক্রি করতে আসেন বিধায় দেখে শুনে কচু ক্রয় করা সম্ভব হয়। সতেজ ও টাটকা কচুর জমজমাট পরিস্থিতি বিরাজ করে। যার ফলে প্রতিনিয়ত এই হাট থেকে রাজশাহী, রংপুর পাঠানো হয়ে থাকে।

    বাবু মিয়া নামের একজন কচু ব্যবসায়ী (স্থানীয় আড়ৎদার) জানান, কৃষকরা সরাসরি জমির কচু খেত থেকে তোলার পরই এ হাটে নিয়ে আসেন। একদিকে কৃষকরা যেমন বিক্রি করতে নির্দিষ্ট একটি জায়গা বা স্থান পেয়েছেন তেমনি কচুর ব্যবসায়ীরাও বিভিন্ন গ্রেটের কচু বাছাইকৃত ভাবে সংগ্রহ করতে পারছেন। এতে চাষী ও ব্যবসায়ী উভয় লাভবান হচ্ছে।

    এ বিষয়ে স্থানীয় উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বিপুল বলেন, কৃষকের ভাগ্য বদলে কাজ করছে বাসাবাড়ি পাইকারি মুখি কচুর হাটটি। ইউনিয়নে এমন একটি হাটের ফলে নিজামপুর, ডিহি, লক্ষণপুর ও বাহাদুরপুর ইউনিয়নসহ পাশের ঝিকরগাছা উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের কৃষকরা সরাসরি পাইকারি বাজারে/হাটে কচু বিক্রি করতে পারছেন। বাজারজাতের সুবিধার্থে আগামীতে ব্যাপকহারে এই কচুর চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

    শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা বলেন, মুখিকচু একটি লাভজনক চাষ। উপজেলা জুড়ে শার্শায় মোট ১৮০ হেক্টর জমিতে মুখিকচুর চাষ হচ্ছে। তাছাড়া আশাবাদী আগামীতে এ উপজেলাতে আরও ব্যাপকভাবে মুখি কচুর চাষ বৃদ্ধি পাবে।

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…