এইমাত্র
  • অভিনয়শিল্পী সংঘের নেতাদের তিন দিনের আল্টিমেটাম
  • আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হলেন তাজুল ইসলাম
  • ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তোলার সীমা উঠে গেল
  • নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদির বৈঠক আয়োজনে ঢাকার প্রস্তাব
  • গোপন গ্রুপের শামীমা তুষ্টি বললেন, গালি আর ট্রল আমার গ্রহণ করতে হবে
  • মাদারীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কৃষককে কুপিয়ে জখম
  • আন্দোলনে আহতদের খোঁজ নিতে হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা
  • নেশার টাকা না দেয়ায় পিতাকে হত্যা করল ছেলে
  • নেত্রকোনায় বিদ্যুৎপৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
  • আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় এখন ফাস্টফুডের দোকান
  • আজ রবিবার, ২৪ ভাদ্র, ১৪৩১ | ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
    শিক্ষাঙ্গন

    ক্যাম্পাসে ফিরতে চান রাবি শিক্ষার্থীরা

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:০৩ পিএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:০৩ পিএম

    ক্যাম্পাসে ফিরতে চান রাবি শিক্ষার্থীরা

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:০৩ পিএম

    শিক্ষকদের সার্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের ফলে গত ১ জুলাই থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। দেশের পরিস্থিতি এখন কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরতে চান। কারণ দীর্ঘ সময় ধরে ছাত্ররা শ্রেণিকক্ষে না থাকায় শিক্ষার্থীরা সেশন জটের শঙ্কায় ভুগছেন। এর পাশাপাশি নানা সংকটে পড়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

    এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে হলগুলোতে যে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, তা সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সম্ভাবনা নেই।

    তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, আমরা একটি যৌক্তিক দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছিলাম। আমাদের অহিংস আন্দোলনে হামলা চালিয়ে শত শত মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। পরে আমাদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আদালতের রায়ে কোটা সংস্কার করা হয়েছে। এখন আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যেতে চাই। তবে এই আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে একটি বিশেষ মহল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে, যা কখনো কাম্য নয়।

    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৬ জুলাই বিকেল ৩টায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে গেলে হলগেটে তালা ঝুলিয়ে দেয় শাখা ছাত্রলীগ। তালা ভেঙে বিক্ষোভ মিছিল বের করে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা৷ তবে এই সুযোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা। এরপর তারা হলে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এরপর দফায় দফায় হামলা চালানো হয় ৯টি আবাসিক হলে৷ ভাঙচুর করা হয় মোট ১৫১টি কক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, এতে মোট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় চার কোটি টাকার। এ ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে এ হলগুলোর সংস্কার কাজ শুরু হবে।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র আশিকুর রহমান বলেন, বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে কোটা সংস্কার ছিল অসহিংস আন্দোলন। কিন্তু আমাদের ওপর হামলা করে, আমাদের অহিংস আন্দোলনকে সহিংস করে তোলা হয়েছে। শত শত মানুষকে মেরে ফেলা হয়েছে। এখন আমাদেরকে নিজেদের ক্যাম্পাসে ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা দ্রুত ক্যাম্পাসে ফিরতে চাই।

    পরিসংখ্যান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রানা রায় সমকালকে বলেন, আমাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দিতেই হল‌গুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এখন দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এখন বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া উচিত। আমরা ক্যাম্পাসে ফিরতে চাই। করোনার কারণে আমরা এমনিতেই পিছিয়ে আছি।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছে প্রশাসন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি ভালো আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ-বিজিবির টহল অব্যাহত রয়েছে।

    উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, প্রায় ৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। কয়েকটি হলের বেশ কিছু কক্ষ সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। বর্তমানে কক্ষগুলো ছাত্রদের বসবাসের অনুপযোগী। এ ঘটনা খতিয়ে দেখতে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে এ হলগুলোর সংস্কার কাজ শুরু হবে। সংস্কার কাজ শেষ হলেই ক্যাম্পাস খোলার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হবে।

    এবি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…