এইমাত্র
  • সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার
  • ডিএমপির ২ সদস্য গ্রেপ্তার
  • কাল ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ, বক্তব্য দেবেন তারেক রহমান
  • ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টাকারী কে এই রায়ান রাউথ?
  • যানজট সমস্যার সমাধান খুঁজতে বিশেষজ্ঞ ও পুলিশকে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
  • চট্টগ্রামে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় ব্যবসায়ী খুন
  • এস আলমের গৃহকর্মী মর্জিনাও কোটিপতি
  • দেশ ছাড়ার গুঞ্জন, যা বললেন আসিফ নজরুল
  • দায়িত্ব শেষে উপদেষ্টাদের সম্পদ একটুও বাড়বে না: ধর্ম উপদেষ্টা
  • আসাদুজ্জামান নূর ও মাহবুব আলী কারাগারে
  • আজ মঙ্গলবার, ১ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
    বিনোদন

    অভিনয়শিল্পী সংঘের নেতাদের তিন দিনের আল্টিমেটাম

    বিনোদন প্রতিবেদক প্রকাশ: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৫ এএম
    বিনোদন প্রতিবেদক প্রকাশ: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৫ এএম

    অভিনয়শিল্পী সংঘের নেতাদের তিন দিনের আল্টিমেটাম

    বিনোদন প্রতিবেদক প্রকাশ: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৫ এএম

    'অভিনয়শিল্পী সংঘ'র সংস্কার চেয়ে একজোট হয়েছেন টেলিভিশন নাটকের অভিনয়শিল্পীরা। বৈষম্য দূরীকরণে তারা একত্রিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। বর্তমান কমিটি শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষে এবং শিক্ষার্ধীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বিবৃতি দেওয়া এবং আলোচিত 'আলো আসবেই' গ্রুপে সক্রিয় থাকার জন্য গোটা শিল্পী সমাজ আজ প্রশ্নবিদ্ধ। এসব ঘটনার দায় নিতে নারাজ সাধারণ শিল্পীরা।

    বিষয়টি নিয়ে অভিনয়শিল্পী সংঘের বর্তমান কমিটির সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম ও সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসানকে আলোচনায় বসার তাগিদ দিলেও মিলেনি সাড়া। উল্টো 'অ-সদস্য' বলে বৈষম্য তৈরির অভিযোগ করেছেন শিল্পীরা।

    এরই পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান কমিটির সংস্কার চেয়ে শনিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সংঘের সদস্য এবং সদস্য না শিল্পীরা এক বৈঠক করেন। সেখানে তারা আলোচনায় সিদ্ধান্ত নেন বর্তমান কমিটি বিগত দিনের সব ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে কার্যনির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে নতুন নির্বাচনের আয়োজন করার। তিন দিনের সময় বেঁধে দিয়ে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন—ইন্তেখাব দিনার, আজমেরী হক বাঁধন, এফ এস নাঈম, নাদিয়া আহমেদ, নাজিয়া হক অর্ষা, শ্যামল মাওলা, সুষমা সরকার, কাজী নওশাবা আহমেদ, মৌসুমী হামিদ, খায়রুল বাসার, শরিফ সিরাজ, মনোজ প্রামাণিক, সোহেল মন্ডল, আরেফিন জিলানী সাকিব, সিয়াম নাসির, আবদ্দুল্লাহ সেন্টু, ইমরান হাসো প্রমুখ।

    উপস্থিত শিল্পীদের অভিযোগ গুটি কয়েকজন শিল্পী এবং অভিনয় শিল্পী সংঘের নেতাদের কারণে পুরো শিল্পী সমাজের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। এর দায় সব শিল্পীরা নিবে না। এ জন্য বর্তমান কমিটির ক্ষমা চাইতে হবে। দীর্ঘ প্রায় চার ঘণ্টা বৈঠকের পর তারা চারটি সিদ্ধান্ত নেন।

    এ প্রসঙ্গে শিল্পীদের প্রতিনিধি হিসেবে কথা বলেন অভিনয়শিল্পী শরিফ সিরাজ। তিনি বলেন, "সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আমরা কথা বলতে চাইলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি। বরং 'অ-সদস্য' বলে আমাদের ফিরিয়ে দিয়েছেন। সদস্য নয় বলে বিভাজন করেছে। অপমান মূলক আচরণের জন্য তাদের ক্ষমা চাইতে হবে।"

    দ্বিতীয়ত, অভিনয় শিল্পী সংঘ শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষায় নজর না দিয়ে নির্দিষ্ট সরকারের পক্ষে ভূমিকা পালন করেছে। বিগত দিনের ভুল ত্রুটির জন্য পুরো জাতির কাছে তাদের ক্ষমা চাইতে হবে।

    তৃতীয়ত, নিজেদের অযোগ্যতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করে অভিনয় শিল্পী সংঘ মুক্ত করতে হবে।

    চতুর্থত, ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের জন্য কথা বলার পথ খোলা। আলোচনায় না বসলে বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে নতুন নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।

    এসময় অভিনেতা সোহেল মন্ডল বলেন, 'আমরা কথা বলতে চাই। কিভাবে শিল্পীদের চলমান ক্রান্তিকাল কাটিয়ে নতুন রূপ রেখা দেওয়া যায় তা নিয়ে ভাবছি। সার্বিক পরিস্থিতি থেকে কথা বলতে চাই। নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছাতে চাই। সদস্য এবং অ-সদস্য এই বৈষম্য আর রাখতে চাই না। সকল শিল্পী এক। আমাদের সঙ্গে সংঘের সদস্যরাও সাড়া দিয়েছেন।'

    মনোজ প্রামাণিক বলেন, 'শিল্পীদের এক হওয়ার কারণ একটাই, দেশে এই সময়টা যা যা ঘটে যাচ্ছে তার জন্য আমরা অনেক বেশি ব্যতীত। কিছু শিল্পীর আচারণ এবং তাদের কথাবার্তা অমানবিক। এরই মধ্যে তারা অনেক অমানবিক কাজ করেছেন। যা শিল্পী সমাজের জন্য লজ্জার। সেই দায় সকল শিল্পীকে নিতে হচ্ছে। অপরাধ না করেও এই দায় আমরা কেন নেব। আমরা সংস্কার চাই। পর্যাপ্ত গবেষণা ও পরিকল্পনা নিয়ে আমরা নেমেছি। ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের আলোচনায় বসার জন্য সময় দিয়েছি। আমরা শিল্পী স্বরূপ আচরণ চাই। তাদের সাড়া না পেলে আমরা বিকল্প পথে হাঁটবো।'

    এ প্রসঙ্গে শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, 'সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে আমরা অবগত না। আমরা সদস্যদের সঙ্গে বসতে প্রস্তুত। আমরাও বৈষম্য চাই না। ব্যক্তিগত ক্ষোভ থাকতেই পারে সেই দায় সংগঠনের না। সংগঠন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।'

    বলে রাখা ভালো, দুই বছর মেয়াদি এই সংগঠনটির নির্বাচন হয়েছে ২০২২ সালের ২৮ জানুয়ারি। ১১ ফেব্রুয়ারি শপথ নিয়ে অভিনয়শিল্পী সংঘের নব-নির্বাচিত কমিটির পথচলা শুরু হয়। অনেক আগেই কমিটির দুই বছর শেষ হয়েছে। পেরিয়ে গেছে আরও ছয় মাসেরও বেশি সময়। তবে নেই নতুন নির্বাচনের তাগিদ।

    তারই মধ্যে সম্প্রতি শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষে বিবৃতি দিয়ে সংগঠনটির বর্তমান কমিটি তোপের মুখে পড়ে। শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিমের 'আলো আসবেই' গ্রুপে সক্রিয় থাকা নিয়েও উঠেছে নানা প্রশ্ন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে একজোট হয়েছেন সাধারণ শিল্পীরা। বৈষম্য দূর করে চাইছেন সংস্কার। তবে নাসিমের দাবি, অভিনয় শিল্পী সংঘ তিন বছর মেয়াদি সংগঠন।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…