স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘আক্রমণকারীদের প্রধান আক্রোশ ছিল পুলিশ ও আওয়ামী লীগের প্রতি। র্যাব, পুলিশ, বিজিবি যখন পারছিল না; তখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য সেনাবাহিনীর সহায়তা চেয়েছি।’
আজ রোববার (২৭ জুলাই) নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্থ স্থাপনা পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কারা তাদের আক্রমণ করতে চায়– সেই বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খুব শিগগিরই আমরা এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাব। ছাত্রদের 'মিসগাইড' (বিভ্রান্ত) করে কিছু ঘটনা ঘটানো হয়েছে। অনেক হত্যাকাণ্ডও সংগঠিত হয়েছে।
'আক্রমণকারীদের প্রধান আক্রোশ ছিল পুলিশ ও আওয়ামী লীগের প্রতি। র্যাব, পুলিশ, বিজিবি যখন পারছিল না; তখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য সেনাবাহিনীর সহায়তা চেয়েছি' - আরো বলেন তিনি।
এসময়ে ছাত্রদের নতুন করে উত্থাপিত দাবির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, 'ছাত্রদের ৮ দফা দাবির বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, যৌক্তিক দাবিগুলো ক্রমান্বয়ে মেনে নিবেন। কিন্তু সেই সুযোগ শিক্ষার্থীরা দেননি। সহিংসতায় আমাদের ছাত্রলীগের অনেকেই মারা গেছে। তিনজন পুলিশ মারা গেছেন। একজন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এখন একটি মহল সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। সাংবাদিকদের দায়িত্ব এসব গুজব থেকে দেশকে রক্ষা করা।'
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম তিন সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ, আবু বকের মজুমদার ও নাহিদ ইসলামকে রাজধানীর একটি হাসপাতাল থেকে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে গতকাল হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
তিনি বলেন, 'প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার এই তিনজনকে আমরা গতকাল রাতে নিয়ে এসেছি। আপনারা জানেন তারা ফেসবুকে নিরাপত্তাহীনতার কথা বলছিলেন। তাদের একজনের বাবাও নিরাপত্তাহীনতার কথা বিভিন্ন জায়গা বলেছেন।'
'আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে আমরা মনে করি, কেউ যদি কোথাও নিরাপত্তাহীনতার কথা বলেন, আমাদের দায়িত্ব তাদের সেইফটি-সিকিউরিটি দেওয়া; এটাই আমাদের কাজ। তাই তাদেরকে সেইফটি-সিকিউরিটি দিচ্ছি' - যোগ করেন তিনি।
এমএইচ