এইমাত্র
  • জাবি ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যুতে সমন্বয়ক আরিফ সোহেলকে নিয়ে অপপ্রচার
  • রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ ব্যাংকের এমডির নিয়োগ বাতিল
  • চট্টগ্রামের এমপি মিতাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক
  • মার্টিনের ঢাকা সফর শেষ, ২৩০ কোটি ডলার সহায়তা নিয়ে আলোচনা
  • তমা মির্জাকে ছেড়ে তানজিন তিশায় মজলেন রায়হান রাফী?
  • বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন পরিচালক ফাহমিদা খাতুন
  • যাদের হাতে রক্ত তারা ক্লাসে বসার সুযোগ পেতে পারে না
  • মব জাস্টিস গ্রহণযোগ্য নয়, কোনো সমাধানও আনবে না: নাহিদ
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ৩ জনের মৃত্যু
  • ‘কোনোরকম মব জাস্টিস গ্রহণ করা হবে না, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব’
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৪ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
    শিক্ষাঙ্গন

    পরীক্ষা দিতে এসে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে বাকৃবি ছাত্রলীগের ৩ নেতা-কর্মী

    মো. রিয়াজ হোসাইন, বাকৃ‌বি প্রতি‌নি‌ধি প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৪ এএম
    মো. রিয়াজ হোসাইন, বাকৃ‌বি প্রতি‌নি‌ধি প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৪ এএম

    পরীক্ষা দিতে এসে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে বাকৃবি ছাত্রলীগের ৩ নেতা-কর্মী

    মো. রিয়াজ হোসাইন, বাকৃ‌বি প্রতি‌নি‌ধি প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৪ এএম
    রাহিমুল ইসলাম শুভ, ওয়াসি-উজ জামান সোহাগ ও তানজিলা মোবাশ্বেরা স্বর্ণালী

    শিক্ষার্থী নির্যাতন, জুলুম এবং বিভিন্ন অনিয়মের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দিতে এসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা ছাত্রলীগের ৩ জন নেতা-কর্মী।

    শিক্ষার্থীদের তোপের শিকার হওয়া ছাত্রলীগের তিনজন নেতা-কর্মী হলেন বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলের সভাপতি পদপ্রার্থী রাহিমুল ইসলাম শুভ, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের সাবেক উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ওয়াসি-উজ জামান সোহাগ, এবং বেগম রোকেয়া হলের ছাত্রলীগ কর্মী ও বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেদী হাসানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী তানজিলা মোবাশ্বেরা স্বর্ণালী।

    বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ভেটেরিনারি অনুষদের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে ওই নেতা-কর্মীদের ঘিরে ধরেন। অভিযোগ অনুযায়ী, তারা পূর্বে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থী নির্যাতনের সাথে জড়িত ছিলেন।

    একাধিক সূত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগের ওই ৩ জনই ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী। ওইদিন তাদের ক্লাস টেস্ট পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষায় অংশ নিতে তারা ক্যাম্পাসে এলে শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের সম্মুখীন হন।

    প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, সকাল ১১টার দিকে ছাত্রলীগের সোহাগ পরীক্ষা দিতে এলে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করেন। পরে নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের কাছে তাকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। সোহাগ ক্ষমা চাইলে শিক্ষার্থীরা তাকে ছেড়ে দেন। তবে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন পরীক্ষা শেষে দুপুর ১২টার দিকে রাহিমুল ইসলাম শুভ ও তানজিলা মোবাশ্বেরা স্বর্ণালী তাদের মায়ের সঙ্গে ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. পূর্বা ইসলামের কক্ষে আশ্রয় নেন এবং দরজা আটকে দেন।

    সেসময় অধ্যাপক পূর্বা রুমে ছিলেন না। শিক্ষার্থীরা কক্ষের বাইরে অবস্থান নেন এবং শুভকে বের হতে বলেন। তারা বের না হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা এবং প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা উপস্থিত হন এবং পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। শিক্ষার্থীরা দাবি করেন শুভকে তার কৃতকর্মের শাস্তি পেতেই হবে এবং ছাত্রলীগের কেউ ক্লাস বা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না। আগে তাদের বিরুদ্ধে গণতদন্ত হবে, যারা নির্দোষ প্রমাণিত হবে তারাই ক্লাস-পরীক্ষা দিবে। বাকিদের শাস্তি পেতে হবে।

    পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে শুভকে প্রক্টরের গাড়িতে করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। গাড়িতে ওঠার সময় উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা তাকে মারধর করেন। তবে স্বর্ণালী ও তার মাকে সেসময় ছেড়ে দেওয়া হয়।

    শুভর বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলের শিক্ষার্থীরা জানান, তিনি শিবির বা ছাত্রদল ট্যাগ দিয়ে শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়েছেন। একাধিক শিক্ষার্থীকে হয়রানি এবং জুলুমের কারণে হলের শিক্ষার্থীরা তার ওপর ক্ষুব্ধ।

    হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের শিক্ষার্থীরা সোহাগের বিষয়ে বলেন, সে কিভাবে নির্যাতন করেছে হলের সকলেই জানে। আমরা তাকে কিছুই বলি নাই, শুধু মাফ চাওয়ানো হয়েছে। তাকে বুঝানো হয়েছে ক্ষমতা চিরস্থায়ী নই।

    এছাড়া বেগম রোকেয়া হলে একক আধিপত্য এবং শিক্ষার্থী হয়রানির জন্যে স্বর্ণালীর উপর ওই হলের শিক্ষার্থীদের প্রচন্ড ক্ষোভ রয়েছে বলে জানা যায়।

    এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আবদুল আলীম বলেন, প্রক্টর হিসেবে সকল শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমার দায়িত্ব। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক কাজে এসেছিলো। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী নির্যাতনসহ নানা অভিযোগ থাকায় শিক্ষার্থীরা তাদের উপর ক্ষুব্ধ হয়। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক করে আমরা তাদের ক্যাম্পাসের বাইরে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেই।

    এফএস

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…