ব্যক্তিগত সহযোগিতার জন্য বিশেষ সুপারিশসহ লোক পাঠানোর ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ। এতে নিজের বিব্রতবোধের কথা জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে এ নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি।
শায়খ আহমাদুল্লাহ তার পোস্টে লিখেছেন, ‘অনেকে ব্যক্তিগত সহযোগিতা (ঋণ, কর্জ, চিকিৎসা, অসচ্ছলতা)-এর জন্য আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনে যোগাযোগ করেন।
তাদের বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন ব্যক্তিগত পর্যায়ে কোনো সহযোগিতা করে না।
তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের নীতিগত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন ঘোষণা দিয়ে সর্বসাধারণের উন্মুক্ত অংশগ্রহণে প্রকল্পভিত্তিক কাজ করে থাকে। ফাউন্ডেশনের সব প্রকল্প সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টের মাধ্যমে ঘোষণা দেওয়া হয় এবং সেখানে সংশ্লিষ্ট সবার আবেদনের অবারিত সুযোগ থাকে। তারপর যথাযথ শর্তের ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়।
‘ব্যক্তিগত পর্যায়ে কাজ না করার কারণ দুটি। প্রথমত, এর ফলে এতে অসংখ্য মানুষের আবেদন আসবে যে, প্রত্যেক মানুষকে আলাদা আলাদাভাবে সহযোগিতা করার শক্তি বা সামর্থ্য কোনোটাই ফাউন্ডেশনের নেই। দ্বিতীয়ত, এতে স্বজনপ্রীতি, আঞ্চলিকতা-প্রীতিসহ নানা অনিয়মের সুযোগ বা প্রশ্ন তৈরি হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘অনেকে ব্যক্তিগত সহযোগিতার জন্য বিশেষ সুপারিশসহ আমাদের কাছে লোক পাঠান।
এতে বিব্রত হই এবং অস্বস্তিতে পড়ি। আমরা আমাদের সব কার্যক্রম প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করে থাকি। ফাউন্ডেশনের কোনো বিষয়ে আমাদের কাছে সুপারিশ করা আর না করায় কোনো ফারাক নেই। এটা কথার কথা নয়, বাস্তবতা।’
‘আমরা প্রতিষ্ঠানের নিয়মের বাইরে কাজ করি না।
এ বিষয়ে আমাদের সীমাবদ্ধতা বিবেচনা করে ব্যক্তিগত কোনো সহযোগিতার আবেদন না করার বিনীত অনুরোধ করছি।
এফএস