আদালতের এক নারী নির্যাতন মামলার তদন্ত চলাকালীন সময়ে লাঞ্ছিত হয়েছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারক। সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে এ ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার নেপথ্য ও সিসিটিভির ফুটেজ দেখে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারক জানান, মেহেরপুর মোকাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল পিটিশন মামলা তদন্তের জন্য তাকে দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়। আজ দুপুরে মামলাটির শুনানীর জন্য বাদী বিবাদীকে হাজির হতে বলা হয়। মামলাটির তদন্ত চলাকালীন সময়ে শিক্ষা অফিসের বাইরে বাদী ও বিবাদী পক্ষের লোকজনের মধ্যে বাক বিতন্ডা হয়। এসময় তিনি উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহবান জানান।
এক পর্যায়ে কয়েকজন যুবক তার প্রতি রাগান্বিত হয়ে মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেয় ও লাঞ্ছিত করে। এতে প্রতিবাদ করে অফিস সহকারী তোফাজ্জেল হোসেন। এসময় তোফাজ্জেন হোসেনকেও লাঞ্ছিত করে যুবকেরা। ঘটনাটি তাৎক্ষনিকভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মেহেরপুর সেনাবাহিনীকে অবহিত করেন শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারক। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে আসে। এর আগেই সটকে পড়ে ওই যুবকেরা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা ঘটনাস্থলে আসেন ও বিস্তারিত শোনেন।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা জানান, তিনি বিস্তারিত ঘটনাটি শুনেছেন। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ও ঘটনাটির তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এইচএ