দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের সারিঘাট থেকে অপহৃত ফয়সাল (৩০) নামে এক যুবককে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে র্যাব ১০। অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে র্যাব ফয়সালের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসসহ (১৮) পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর মতিঝিল থানাধীন গোপীবাগ এলাকায় একটি ভাড়া বাসা থেকে ফয়সালকে উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
রবিবার দুপুরে র্যাব ১০-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি তাপস কর্মকার এসব তথ্য জানান।
জানা যায়, ৭ নভেম্বর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন বেয়ারাবাজার এলাকায় বসবাসকারী মো. ফয়সাল পারিবারিকভাবে একই এলাকার জান্নাতুল ফেরদৌসকে বিয়ে করেন। পরদিন ৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় ফয়সাল ও তার স্ত্রী জান্নাতুল বাড়ির পাশে সারিঘাট এলাকায় ঘুরতে যান। দুই ঘণ্টা পর জান্নাতুল একাই স্বামীর বাসায় গিয়ে তার শাশুড়িকে জানান- অজ্ঞাতনামা ৬-৭ ব্যক্তি ফয়সালকে মারধর করে জোরপূর্বক একটি সিএনজিযোগে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। ঘটনা শুনে ফয়সালের মা তার আত্মীয়স্বজনদের নিয়ে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন।
একপর্যায়ে অজ্ঞাত অপহরণকারীরা ফয়সালের মায়ের মোবাইলে ফোন করে ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে ছেলেকে হত্যার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ৯ নভেম্বর তিনি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।
এএসপি তাপস কর্মকার জানান, মামলার এক ঘণ্টার মধ্যে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর গোপীবাগে প্রধান আসামি রিফাত শিকদারের ভাড়া বাসা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় রিফাত শিকদার (১৯), তার বন্ধু মোহাম্মদ রাজ (২১), মো. মেহেদী হাসান (১৯) ও কাশফিয়া আক্তারকে (১৫) গ্রেফতার করা হয়। আসামিদের স্বীকারোক্তিতে ভিকটিম ফয়সালের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসকেও গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা র্যাবকে জানায়, ভিকটিম ফয়সালের স্ত্রী জান্নাতের সঙ্গে আসামি রিফাতের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এ অবস্থায় পারিবারিকভাবে ফয়সালের সঙ্গে জান্নাতুল ফেরদৌসের বিয়ে হয়ে যায়। প্রেমিক ও প্রেমিকা বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি। তারা অন্য বন্ধুদের সহযোগিতায় ফয়সালকে অপহরণ করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল মুক্তিপণের টাকা নিয়ে রিফাত ও জান্নাতুল দূরে কোথাও গিয়ে সংসার পাতবে। সেই পরিকল্পনা থেকেই তারা ফয়সালকে অপহরণ করে।
এসএফ