কনকনে ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের মানুষজন। গত ২৪ ঘন্টায় তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেলেও কমেনি শীতের তীব্রতা। কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসে শীতকষ্টে পড়েছে মানুষ। গত দুদিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যেরও।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। বুধবার তাপমাত্রা ছিলো ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কনেকনে ঠান্ডায় শীত কষ্টে পড়েছে হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবি মানুষেরা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। দিনের বেলা সূর্যের উত্তাপ না থাকায় হিমেল বাতাসে কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছে চিন্নমুল, দিনমজুরসহ শ্রমজীবী মানুষ।
এদিকে শীত নিবারনে জেলার ৯ উপজেলায় ৪৯ লাখ টাকা ও ১২ হাজার কম্বল বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। যা উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ চলমান থাকার কথা জানায় জেলা প্রশাসন।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের আব্দুল জলিল বলেন, ‘দুই দিন ধরে সূর্যের দেখা নাই। খুব ঠান্ডা। সন্ধ্যা হলেই বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ে। গরম কাপড় নাই খুব কষ্টে আছি আমরা।
ভিতরবন্দ ইউনিয়নের দিনমজুর কাশেম আলী বলেন, ‘খুবই কনকনে ঠান্ডা। ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। গরম কাপড় নাই। এখনও সরকারি বা বেসরকারি কোন কম্বল পাই নাই। খুব কষ্টে আছি।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গত দেড় মাস ধরে এই অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠানামা করছে। এ মাসেই ২-৩টি শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
’সময়ের কন্ঠস্বরের মাধ্যমে কুড়িগ্রামের শীতার্ত মানুষের পাশে দাড়াতে চাইলে- ০১৭১৩২০০০৯১, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, সময়ের কন্ঠস্বর।
এফএস