এইমাত্র
  • সাবেক এমপি শফিকুল গ্রেপ্তার
  • স্থানীয় নির্বাচনের মাধ্যমে নিরপেক্ষ পরিবেশ পাবে জনগণ: ভিপি নুর
  • সৌদিতে ভয়াবহ বন্যা, মক্কা-মদিনায় ‘হাই রেড অ্যালার্ট’
  • বডি শেমিংয়ের কারণে ফ্রাস্ট্রেটেড হয়ে গিয়েছিলেন দিঘী
  • অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে রোশান-রিয়েলীর 'মেকআপ'
  • ডিবির হারুন ও তাঁর ভাই শাহরিয়ারের আয়কর নথি জব্দের আদেশ
  • ঢাকা-১০ আসনের সাবেক এমপি গ্রেফতার
  • জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা: খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি
  • অবশেষে দীর্ঘ ৭ বছর পর দেখা হলো মা-ছেলের
  • রায়েরবাজারে পরিত্যক্ত ২৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  • আজ বুধবার, ২৫ পৌষ, ১৪৩১ | ৮ জানুয়ারি, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    ফেলানী হত্যার ১৪ বছর, বিচার দেখে মরতে চান বাবা-মা

    এস এম ফয়সাল শামীম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৫ পিএম
    এস এম ফয়সাল শামীম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৫ পিএম

    ফেলানী হত্যার ১৪ বছর, বিচার দেখে মরতে চান বাবা-মা

    এস এম ফয়সাল শামীম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৫ পিএম

    কুড়িগ্রাম সীমান্তে কিশোরী ফেলানী হত্যার ১৪ বছর আজ ৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)। দেশ-বিদেশে আলোচিত এ নির্মম হত্যাকান্ডের দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও বিচার পায়নি ফেলানীর পরিবার। বিচারিক কাজ ভারতের উচ্চ আদালতে ঝুলে থাকায় এখনও ন্যায় বিচারের আশায় অপেক্ষার প্রহর গুনছেন ফেলানীর বাবা-মাসহ স্থানীয়রা। বিচারিক কাজ বিলম্বিত হলেও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সীমান্ত হত্যা বন্ধের প্রত্যাশা বিশিষ্টজনের।

    ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বাবার সাথে কাটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুন।

    ফেলানীর মরদেহ কয়েক ঘণ্টা কাটাতারে ঝুলে থাকার দৃশ্য দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমসহ মানবাধিকার কর্মীদের মাঝে সমালোচনার ঝড় তোলে।

    পরে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহারের বিএসএফের বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচার কাজ শুরু হয়। একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেয় এই বিশেষ আদালত।

    বিজিবির আপত্তিতে ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পুনঃবিচার শুরু হলে সেখানেও খালাস দেয়া হয় অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে। এরপর ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই ভারতীয় মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম) এর মাধ্যমে ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেন। পিটিশনের ভিত্তিতে কয়েক দফায় শুনানীর দিন পিছালেও এখনও আদালতেই ঝুলে আছে পিটিশনটি।

    এ অবস্থায় অনেকটা হতাশার মধ্যে থাকলেও মেয়ের হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তিসহ ন্যায় বিচারের আশা করছেন ফেলানীর পরিবার।

    ফেলানীর মা জাহানারা বেগম বলেন, ‘আমার নিষ্পাপ মেয়ে ফেলানীকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করেছে বিএসএফ অমিয় ঘোষ। আমার বড় মেয়েকে মেরে বুক খালি করেছে। মেয়েকে হত্যার পর থেকে আমার পরিবারের সবাই দুর্বিষহ দিন কাটাচ্ছি। কেউ খোঁজ খবর নেয় না। বাংলাদেশ-ভারত সরকারের কাছে আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই। বেঁচে থাকতে আমি অমিয় ঘোষের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দেখে যেতে চাই।’

    বিচার চেয়ে ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম বলেন, ‘ভারতের কোচবিহারে বিএসএফের আদালতে আমার মেয়ে হত্যার বিচার শুরু করে। আমি সাক্ষী দিয়ে আসি। আমার চোখের সামনে গুলি করে মারা হয়েছে আমার মেয়েকে। কিন্তু অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে খালাস দেয়া হয়। পরবর্তীতে আমি ভারতের একটি মানবাধিকার সংগঠনের সহায়তায় ভারতের উচ্চ আদালতে একটি রিট পিটিশন দাখিল করি। কিন্তু সেখানেও বিচার শুরু হয়নি। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার দেখে মরতে চাই।’

    স্থানীয় বাসিন্দা আখতার হোসেন জানান, শুধু শুনে আসছি যে ফেলানী হত্যার বিচার হবে। কিন্তু বিচার হচ্ছে না। ভারত সরকার বিচার করছে না। ফেলানী হত্যার বিচার পেতে আদালতে সাক্ষী দিতে কয়েক দফায় ভারতে যান ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিচার না পাওয়ায় হতাশ আমরা এলাকাবাসীরাও।

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরাম কুড়িগ্রামের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম বলেন, ফেলানী হত্যার রিট পিটিশনটি ভারতের উচ্চ আদালতে ঝুলে আছে। আমরা মনে করি পিটিশনটি উথ্যাপন করে ফেলানী হত্যার বিচারের মাধ্যমে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে ভারত সরকার। এতে করে দুদেশের দীর্ঘ সীমান্তে হত্যার ঘটনা কমে আসবে।

    উল্লেখ্য, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের কলনিটারী গ্রামের নুর ইসলাম ও জাহানারা দম্পতির ৮ সন্তানের মধ্যে সবার বড় মেয়ে ছিল ফেলানী। পরিবারের অভাব অনটন দূর করতে কাজের সন্ধানে স্বপরিবারে চলে যান ভারতে। মেয়েকে বিয়ে দিতে দাদালের মাধ্যমে দেশে ফেরার সময় এ হত্যাকান্ডের শিকার হন ফেলানী।

    এফএস

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…