এইমাত্র
  • তিন কোটি টাকা মূল্যের গাড়ি আত্মসাৎকারী প্রতারক চক্রের ৫ সদস্য আটক
  • শামীম ওসমান ও নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুদকের দুর্নীতির মামলা
  • ৬টি কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়ানো হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
  • বিপিএলে পারিশ্রমিক না পাওয়ায় অনুশীলন বয়কট রাজশাহীর ক্রিকেটারদের
  • বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করতে চায় পাকিস্তান
  • শিবচরে দুর্বৃত্তের আগুনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুড়ে ছাই
  • উইজডেনের বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশে বাংলাদেশের তারকা পেসার
  • ব্যাংককে নিয়েও বাঁচানো গেল না নারী উদ্যোক্তা তনির স্বামীকে
  • হাসপাতালে নার্সের ভুল ইনজেকশনে ২ রোগীর মৃত্যু
  • প্রেমে বাধা দেওয়ায় প্রেমিকার চাচাতো ভাইকে হত্যা
  • আজ বুধবার, ২ মাঘ, ১৪৩১ | ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    ভোলায় জ্বিনের বাদশাকে জিম্মি করে মুক্তিপন দাবি, দুই ছাত্রদল নেতা গ্রেফতার

    ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৪৯ পিএম
    ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৪৯ পিএম

    ভোলায় জ্বিনের বাদশাকে জিম্মি করে মুক্তিপন দাবি, দুই ছাত্রদল নেতা গ্রেফতার

    ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৪৯ পিএম
    গ্রেফতার হওয়া ছাত্রদল নেতা রাজিব

    ভোলার বোরহানউদ্দিনে কথিত এক জ্বীনের বাদশাকে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় উপজেলার ৪ ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছে ওই ভুক্তভোগী। এ ঘটনায় পুলিশ ২ ছাত্রদল নেতাকে গ্রেফতার করেছে।

    সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর একটি মেস থেকে পুলিশ ওই দুই ছাত্রদল নেতাকে আটক করে এবং ভিক্টিমকে উদ্ধার করেন।

    গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজনের নাম মো. মিজানুর রহমান রাজিব। তিনি উপজেলার সরকারি আব্দুল জব্বার কলেজ শাখার ছাত্রদল সভাপতি। অপরজনের নাম মো. জিহাদ। এছাড়াও পলাতক অন্য দুই ছাত্রদল নেতা হলেন-মো. তানজিল হোসেন এবং শাকিব খান। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পদবি জানা যায়নি।

    ভুক্তভোগীর নাম মো. আকবর আলী। তিনি উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. কাশেম জমাদারের ছেলে। পেশায় তিনি অটোরিকশা চালক হলেও তার আড়ালে তিনি জ্বীনের ব্যবসা করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়দের কাছে সে জ্বীনের বাদশা নামে পরিচিত।

    ভুক্তভোগী এবং বোরহানউদ্দিন থানা সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে আকবর আলী বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে রাজিবের নেতৃত্বে ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আকবরকে তুলে নিয়ে ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর একটি মেসে নিয়ে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি করেন।

    খবর পেয়ে আকবর আলীর ভাই তামিম হোসেন বোরহানউদ্দিন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আকবর আলীকে উদ্ধার করে এবং ছাত্রদল নেতা রাজিব ও জিহাদকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

    একটি বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, আকবর আলী একজন জ্বীনের বাদশা। সেজন্য ছাত্রদল নেতা মিজানুর রহমান রাজিব তাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে মেসে আটকে মুক্তিপণ দাবি করেন। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীর পরিবার তাদেরকে কিছু টাকা মুক্তিপণ দিতেও রাজি হন। কিন্তু, টাকার সংখ্যা কম হওয়ার কারনে তারা রাজি হননি।

    এদিকে, ওই দুই ছাত্রদল নেতাকে আটকের খবরে বোরহানউদ্দিন থানায় অবস্থান নেন বেশকিছু বিএনপির নেতাকর্মী। এরমধ্যে থেকে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতাকর্মী থানায় গিয়ে যাদেরকে আটক করা হয়েছে তাদেরকে ছাড়িয়ে আনেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকার কারণে রাত ১২ টার দিকে আটক দুই ছাত্রদল নেতাকে পুলিশ পাহারায় ভোলা সদর থানায় নিয়ে আসা হয়। এরপর ভুক্তভোগী আকবর চারজনের নাম উল্লেখ করে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

    মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে ভোলা সদর মডেল থানা থেকে ওই দুই নেতাকে আদালতে তোলা হয়। আদালত তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করেন।

    বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, আসামি আসামিই। তাদের পরিচয় আমার জানার বিষয় না। গ্রেফতার হওয়া দুই আসামি আকবর আলী নামের একজনকে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি করেছিল। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দুই আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

    এআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…