এইমাত্র
  • নভেম্বরে ৫৩৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৮৩ ও আহত ১৩১৭ জন
  • ছয় মাসের মাথায় চাকরি হারালেন আনচেলত্তি
  • নিকুঞ্জের সামনে ট্রাক উল্টে এয়ারপোর্ট রোডে তীব্র যানজট
  • রাজধানী থেকে এনসিপি নেত্রীর মরদেহ উদ্ধার
  • খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে ব্রিফিং করবেন ব্যক্তিগত চিকিৎসক
  • ভারতীয় ভিসা সেন্টার চালু
  • মানবতাবিরোধী অপরাধে ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল
  • যেসব এলাকায় আজ টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না
  • মালয়েশিয়ার অভিযানে ৭২ বাংলাদেশিসহ আটক ৪০২ জন
  • প্রবাসীদের বড় ধরনের সুসংবাদ দিলো সৌদি আরব
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৪ পৌষ, ১৪৩২ | ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    চিকিৎসা আর ঋণ পরিশোধের জন্য কিডনি বিক্রির বিজ্ঞাপন!

    নাজমুস সাকিব মুন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৪ পিএম
    নাজমুস সাকিব মুন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৪ পিএম

    চিকিৎসা আর ঋণ পরিশোধের জন্য কিডনি বিক্রির বিজ্ঞাপন!

    নাজমুস সাকিব মুন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৪ পিএম

    পঞ্চগড়ে অসুস্থ মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে ঋণগ্রস্ত এক দম্পতি নিজেদের একটি করে দুইটি কিডনি বিক্রির জন্য দেওয়ালে লিফলেট সাঁটিয়ে দিয়েছে। অসুস্থ মেয়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে ভিটেমাটি বিক্রি করেছেন। তাতেও মেয়ে সুস্থ না হওয়ায় বিভিন্ন এনজিও থেকে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে মেয়ের চিকিৎসা অব্যাহত রেখেছেন। এখন উপায়ন্তর না পেয়ে ঋণ পরিশোধে নিজেদের কিডনি বিক্রি করতে চাইছেন সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের দক্ষিণ তালমা ডিয়াবাড়ি এলাকার নবিউল্লাহ ও জাহানারা দম্পতি। দেওয়ালে দেওয়ালে লাগানো নবীউল্লাহ'র কিডনি বিক্রির লিফলেটের ছবি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

    কামাত কাজলদীঘি ইউনিয়ন ও আশপাশের এলাকার বিভিন্ন দেওয়ালে কিডনি বিক্রির লিফলেট দেখে হতভম্ব হয়ে গেছে এলাকাবাসী। লিফলেটে লেখা, মহান রাব্বুল আলামীন আমাকে যে বিপদ দিয়েছে, এরকম বিপদ যেন না দেয় মানু্‌ষকে। আল্লাহ আপনি আমাকে মাফ করে দিবেন। আমি জানি জীবিত অবস্থায় মানু্‌ষের শরীরের যে কোন অংশ বিক্রি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। বাঁচার কোন রাস্তা পাইনি। এরপর নিচে লিখে দেন, দুইটি কিডনী বিক্রি করতে চাই।

    মেয়ের চিকিৎসা আর ঋণ পরিশোধের দুশ্চিন্তায় নিজেরাও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এই দম্পতি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে এখন কাজে যেতে পারেন না নবিউল্লাহ।

    নবিউল্লাহ ও জাহানারা দম্পতির ১৮ বছর বয়সী মেয়ে নিতু আক্তার ১৩ মাস বয়স থেকে থ্যালাসেমিয়ায় ভুগছেন। যার কারণে প্রায়ই অসুস্থ থাকতে হয় নিতুকে। নিতে হয় নিয়মিত রক্ত। ইচ্ছে থাকার পরও অষ্টম শ্রেণীর পর আর পড়াশোনা করতে পারেনি নিতু। নিতুর ভাই জিহাদও ভুগছে অ্যাজমাতে। দুই সন্তানের অসুস্থতা কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে বাবা-মাকে।

    নিতুর মা জাহানারা বলেন, থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কয়েক বছর পর পেটে টিউমার ধরা পড়ে নিতুর। এরপর তা অপারেশন করে অপসারণ করা হয়। তবে অভাবের সংসারে পরে আর চিকিৎসা চালিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি।

    কান্না জড়িত কণ্ঠে নবীউল্লাহ বলেন, বাধ্য হয়ে কিডনি বিক্রির জন্য বিভিন্ন জায়গায় লিফলেট লাগিয়েছি। মানুষের সব ঋণ পরিশোধ করতে চাই। ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই। মেয়ের চিকিৎসায় নিঃস্ব হয়ে গেছি।

    এইদিকে পরিবারটির এমন দুঃসহ সময়ে সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে নবীউল্লাহ'র প্রতিবেশীরা।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…