এইমাত্র
  • ২য় শ্রেণির মর্যাদা পাবেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক
  • সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ ফের বাড়ল
  • চট্টগ্রামে বাসচাপায় ভাই-বোনসহ নিহত ৩, আহত ১
  • দিল্লির হোটেলে ব্রিটিশ নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
  • যশোর সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ২০ লাখ টাকার মাদকসহ আটক ১০
  • মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির অবস্থা সংকটাপন্ন, আরও দুবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’
  • মালয়েশিয়ার পাহাং রাজ্যে ৪৮ বাংলাদেশিসহ ১৩১ জন আটক
  • সচিবালয় ও যমুনার সামনে অনির্দিষ্টকাল সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
  • লিবিয়া থেকে ফিরলেন ১৭৬ বাংলাদেশি
  • চার দিনের সফরে আজ বাংলাদেশে আসছেন জাতিসংঘ মহাসচিব
  • আজ বৃহস্পতিবার, ২৯ ফাল্গুন, ১৪৩১ | ১৩ মার্চ, ২০২৫
    আন্তর্জাতিক

    আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মির: জয়শঙ্কর

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ৬ মার্চ ২০২৫, ০১:০৪ পিএম
    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ৬ মার্চ ২০২৫, ০১:০৪ পিএম

    আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মির: জয়শঙ্কর

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ৬ মার্চ ২০২৫, ০১:০৪ পিএম

    ৬ বছর আগে সংবিধানের ৩৭০ নম্বর ধারা বাতিলের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মিরে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় কতৃত্ব জারি করেছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, নয়াদিল্লির পরবর্তী লক্ষ্য পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া।

    বুধবার (০৫ মার্চ) ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক থিঙ্কট্যাংক সংস্থা চ্যাথাম হাউসকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন জয়শঙ্কর। সেখান কাশ্মির ইস্যু সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে জয়শঙ্কর বলেছেন, “এ ইস্যুতে আমরা ধাপে ধাপে এগোচ্ছি এবং আমি মনে করি, ইতোমধ্যে অনেকাংশে আমরা এটিকে গুছিয়ে এনেছি। প্রথম ধাপে আমরা (সংবিধানের) ৩৭০ নম্বর ধারা বাতিল করেছি, দ্বিতীয় ধাপে জম্মু-কাশ্মিরের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কার্যকলাপকে গতিশীল করা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দিকে মনোযোগ দিয়েছি, তৃতীয় ধাপে আমরা সেখানে বিধানসভা নির্বাচন দিয়েছি এবং সেই নির্বাচনে প্রচুর ভোটার ভোট দিয়েছেন।”

    “এখন আমাদের সামনে আছে চতুর্থ ধাপ। এই ধাপে আমাদের লক্ষ্য হলো জম্মু-কাশ্মিরের চুরি যাওয়া অংশ উদ্ধার করা। আরও স্পষ্টভাবে বললে, জম্মু-কাশ্মিরের যে অংশটি পাকিস্তান অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে, সেটিকে ভারতের মানচিত্রভুক্ত করা। আমি আপনাকে গ্যারান্টি দিয়ে বলছি, যদি এই লক্ষ্য আমরা সফলভাবে অর্জন করতে পারি, সেক্ষেত্রে কাশ্মির ইস্যু নামে আর কোনো সংকট থাকবে না। এটিই এ সংকটের চূড়ান্ত সমাধান।”

    ১৯৪৭ সালে ব্রিটেনের ঔপনিবেশিক শাসন থেকে ভারত ও পাকিস্তানের স্বাধীনতা লাভের সময় থেকে কাশ্মির সংকটের শুরু। দুই রাষ্ট্রের সীমানা নির্ধারণের সময় জম্মু-কাশ্মির কোন রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত হবে— জম্মু-কাশ্মিরের শেষ রাজা হরি সিংয়ের কাছে তা জানতে চেয়েছিলেন ব্রিটেনের শাসকরা। কিন্তু বিভিন্ন দিক বিবেচনায় হরি সিং জানিয়েছিলেন, জম্মু-কাশ্মির স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে থাকবে; কোনো দেশের অংশ হবে না।

    কিন্তু ১৪ আগস্ট স্বাধীনতা লাভের পর জম্মু-কাশ্মির দখলে অভিযান শুরু করে পাকিস্তান এবং কাশ্মিরের রাজধানী শ্রীনগরের অনতিদূরে পৌঁছে যায়। এই পরিস্থিতিতে কাশ্মিরের রাজা হরি সিং জম্মু-কাশ্মিরের ভারতে অন্তর্ভুক্তির দলিলে স্বাক্ষর করেন।

    হরি সিংয়ের স্বাক্ষরের পর অভিযানে নামে ভারতের সেনাবাহিনী এবং পাকিস্তানি সেনারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। সেই থেকে জম্মু-কাশ্মিরের মোট ভূখন্ডের ৪৩ শতাংশ ভারতের এবং ৩৭ শতাংশ পাকিস্তানের দখলে রয়েছে। বাকি ২০ শতাংশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে চীনের হাতে। চীনের অধিকৃত ওই অঞ্চলটি সিয়াচেন নামে পরিচিত।

    ভারতে অন্তভুক্ত হওয়ার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু জম্মু-কাশ্মিরকে বিশেষ স্বায়ত্বশাসিত রাজ্যের মর্যাদা দিয়েছিলেন। ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারায় এ সম্পর্কে বলা হয়েছিল, জম্মু-কাশ্মিরের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার কখনও হস্তক্ষেপ করতে পারবে না এবং ভারতের অন্য কোনো রাজ্যের লোকজন বা কোনো বিদেশি জম্মু-কাশ্মিরে জমি বা সম্পত্তি ক্রয় করতে পারবে না।

    ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট পার্লামেন্টে কণ্ঠভোটের মাধ্যমে ৩৭০ ধারা বাতিল করে দেয় নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় ক্ষমতায় আসীন বিজেপি।

    এমআর-২

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…