কুমিল্লা ইকোনমিক জোনে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় মেঘনা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (৮ মার্চ) ইপিজেডের একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় ১৩ জন নামীয় এবং অজ্ঞাত ১৫-১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, গত শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেলে কুমিল্লা ইকোনমিক জোনের সরকারি জায়গা, সড়ক এবং অবিক্রিত জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। মেঘনা উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১নং যুগ্ম সদস্য সচিব সাকিব সরকার ও পলাশসহ তাদের সমর্থকরা এবং ইপিজেডের সাপ্লায়ার, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল গাফফারের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে আব্দুল গাফফারের ইট নামানোর কাজে বাধা দেওয়ায় পরিস্থিতি উত্তেজিত হয়ে ওঠে। দুই পক্ষের মধ্যে কথার লড়াই থেকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ৭ থেকে ৮ জন আহত হন।
এবিষয়ে সাকিব সরকার বলেন, "ইকোনমিক জোনের ভেতরে সাধারণ মানুষের ও সরকারি জমি রয়েছে, যা অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে কোম্পানির লোকজনের সাথে কথা বলছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে উপেক্ষা করে, গাফফার মেম্বার ও শাহ আলম আমাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় আমাদের সংগঠনের অফিস ভাঙচুরও করা হয়।"
অপরদিকে, লুটেরচর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল গাফফার অভিযোগ করে বলেন, "আমি দীর্ঘদিন ধরে এখানে ব্যবসা করছি। যখন শুনলাম অন্য ব্যবসায়ী গাফফার ভাইয়ের ইট নামাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, আমি তাদের বাধা দেওয়ার জন্য বলি। কিন্তু তারা আমার ব্যবসার ২০ শতাংশ ভাগ চায় এবং পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাদের উপর হামলা চালায়।"
এ ঘটনায় ইকোনমিক জোনের ডিজিএম মনিরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে মেঘনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল বলেন, "মামলা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
এনআই