ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অন্যতম ব্যস্ততম মহাসড়ক নারায়ণগঞ্জের অংশ দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ২০ থেকে ২৫ হাজার যানবাহন চলাচল করে। ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে যানবাহনের চাপ প্রায় দ্বিগুণ হওয়ার সংখ্যা রয়েছে। যার ফলে যানজট সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সড়কটিতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এবারের ঈদযাত্রায় যানজট থেকে মুক্তি মিলবে বলে ধারণা করছেন অভিজ্ঞ মহল ও পরিবহন চালকরা।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, মহাসড়কের সাইনবোর্ড থেকে কাঁচপুর সেতু পর্যন্ত মোট ৭ কিলোমিটার সড়কের সাইনবোর্ড, মৌচাক বাসস্ট্যান্ড, ১০তলা, চিটাগাং রোডের শিমরাইল মোড়, কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ডে যানবাহন চালক ও যাত্রীদের যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে। মূল কারণ সড়কের মাঝে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, যাত্রী ওঠানামা করানো ও মহাসড়কের ধীর গতির লেনে অবৈধ স্থাপনা।
অপরদিকে সম্প্রতি প্রতিরাতে ঢাকাস্থ মাতুয়াইল অংশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চেকপোস্ট বসিয়ে গাড়ি তল্লাশির ফলে সেখানকার যানজট প্রায় সময় কাঁচপুর পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছে যায়। এমন চেকপোস্ট অব্যাহত থাকলেও যানজট সৃষ্টির কারণ হতে পারে।
পরিবহন চালকরা বলছেন, মহাসড়কের সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ডের ঢাকাগামী ও চট্টগ্রামগামী উভয়ের আঞ্চলিক লেন, ১০তলা ভবন সংলগ্ন, শিমরাইল বাসস্ট্যান্ডে অসংখ্য গাড়ি পার্কিং আর যাত্রী ওঠানামার জন্য সব সময় জটলা লেগে থাকে। অপরদিকে এসব স্থানে মহাসড়কের দুপাশে সড়কের ওপর অবৈধভাবে স্থাপনা গড়ে তোলায় সড়ক ও সরু হয়ে আছে।
এ বিষয়ে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আবু নাঈম সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, এবারের ঈদযাত্রায় মানুষের ভোগান্তি এড়াতে আমাদের অতিরিক্ত ফোর্স ইতোমধ্যে চলে এসেছে। ঈদকে সামনে রেখে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আমরা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। সাইনবোর্ড ও শিমরাইল টিম সবসময় টহলে রয়েছে আশা করছি এবার ভোগান্তি হবে না বলে জানান তিনি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোরশেদ সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, আমাদের প্রধান ও একমাত্র উদ্দেশ্য হলো আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রমজানের শুরু থেকেই যানজট মুক্ত মহাসড়ক এবং স্বস্তিদায়ক যাত্রা।
কাঁচপুর হাইওয়ের প্রতিটি পুলিশ সদস্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ট্রাফিক আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এর সুফল পেতে শুরু করেছে যাত্রীরা। চলতি কর্মতৎপরতা অব্যাহত রাখা এবং সকলকে যানজট মুক্ত মহাসড়ক উপহার দেওয়াই এবারের মূল লক্ষ্য বলে জানান তিনি জানান।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রহিম সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, সড়ক সংস্কারের বিষয়টি হচ্ছে, আমরা সড়ক পরিদর্শন করেছি। কিছু অংশে খানাখন্দ রয়েছে, সেগুলো ঈদের আগেই সংস্কার হয়ে যাবে। এই কাজের জন্য যানজট সৃষ্টি হবে না।
এসআর