গাজীপুরের টঙ্গীতে চাঁদা দাবি চাওয়া সংক্রান্ত ঘটনায় এক গৃহবধূকে ও তার ছেলেকে গুরুতর জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে টঙ্গীর বনমালা এলাকায় এঘটনা ঘটে।
এঘটনায় আহত গৃহবধূ জায়েদা আক্তার (৪০) টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, টঙ্গী পূর্ব থানাধীন বনমালা মধুরমার মাঝার এলাকার মোঃ মাসুদ রানা (৪০), মো: জসিম (৩৪), মো: সাইদ মিয়া (৪৪), মো: মহসিন (৩৬), মো: নাজিমউদ্দিন জনি (৩২)।
ভুক্তভোগী জায়েদা আক্তার জানান, আমি ২০ দিন যাবৎ আমার বাড়ির সামনে দোকান নির্মান এর কাজ করে আসছি। আমি ৫নং বিবাদীর কাছ থেকে ইট বালু ক্রয় না করায় বিবাদীরা এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার কাছে চাঁদা দাবি করে। আমি বিবাদীদের চাঁদা দিতে না চাওয়ায় আজ সকালে বিবাদীরা আমার কাজে বাধা দেয় এবং আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। আমি ন্যায়সঙ্গত প্রতিবাদ করলে বিবাদীরা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র কাচি, ছুরি দিয়ে মাথায় কোপ দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে এবং আমার শ্লীলতাহানী করে। আমার বড় ছেলে মো: ইকরাম (২১) ও ছোট ছেলে মো: ইমরান (১৭) আমাকে বিবাদীদের হাত থেকে উদ্ধার করতে গেলে বিবাদীরা তাদেরও মারধর করে শরীরে নিলাফুলা জখম করে। পরবর্তিতে আমাদের ডাক চিৎকার শুনে আশে পাশের লোকজন আমাদের বিবাদীদের হাত থেকে উদ্ধার করে।
তিনি আরোও জানান, মারধরের সময় আমার গলায় থাকা (১ ভড়ি) স্বর্ণের চেইন বিবাদীরা ছিনিয়ে নেয়। বিবাদীদের এমন এলোপাতারি মারধর এর কারনে আমি ও আমার ছোট ছেলে শহীদ আহসান উল্লাহ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করি। তবে সুযোগ মত পেলে বিবাদীরা আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি করবে বলে বিভিন্ন হুমকি/ধামকি দেয়।
অপরদিকে অভিযুক্ত মাসুদ জানায়, এটা আমাদের পারিবারিক ঝামেলা। আমরা পরে সমাধান করে নিবো।
এবিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফরিদুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এনআই