এইমাত্র
  • বাউফলে সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন
  • শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা
  • দুদকের মামলায় খালাস পেলেন বিএনপি নেতা ফালু
  • প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়া মেটাতে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ১
  • ৮ হাজার অভিবাসীর বিরুদ্ধে সৌদির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
  • গাজার হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল
  • ঢাকায় বড় হাসপাতাল নির্মাণ করবে চীন
  • মোংলায় নদী থেকে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার
  • মাগুরার শিশু ধর্ষণ মামলার চার্জশিট আজই দাখিল করা হবে: আসিফ নজরুল
  • শিল্প গ্যাসের নতুন মূল্য ঘোষণা আজ
  • আজ রবিবার, ৩০ চৈত্র, ১৪৩১ | ১৩ এপ্রিল, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্যে ভরাট হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র নদ!

    রবিউল আউয়াল, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি প্রকাশ: ৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২৬ পিএম
    রবিউল আউয়াল, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি প্রকাশ: ৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২৬ পিএম

    সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্যে ভরাট হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র নদ!

    রবিউল আউয়াল, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি প্রকাশ: ৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২৬ পিএম

    আড়াইশ বছরের পুরোনো ময়মনসিংহ নগরীর বুক চিরে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র নদ। নব্বইয়ের দশকেও উত্তাল ছিল যে নদটি, সেটি এখন দখল-দূষণে অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে। স্থানীয়দের পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশনও নদের পাড় দখলের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ফেলা হচ্ছে ময়লা, বিভিন্ন স্থাপনার পরিত্যক্ত ইঁট-বালি, আবর্জনা। অথচ বর্জ্য ফেলার জন্য রয়েছে সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত স্থান। এ কারণে ব্রহ্মপুত্রের প্রাণ ফেরানো খুব কঠিন হবে বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিক ও পরিবেশবাদীরা।

    সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নগরীর কে.বি ইসমাঈল রোডের পাশে পৌর কাঁচা বাজারের পেছনের অংশে, মন্দিরের পেছনে এবং তার পাশে ব্রহ্মপুত্র নদের বিশাল অংশজুড়ে ফেলা হয়েছে বিভিন্ন স্থাপনার ইট-বালি, ময়লা আবর্জনা। যা থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধসহ নানা রোগ জীবাণু।

    স্থানীয়রা বলছেন, প্রতিদিন সিটি কর্পোরেশনের ময়লার গাড়ি এসে বিভিন্ন ধরনের ময়লা আবর্জনা ফেলে চলে যায়। এতে করে আশপাশের মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। নিষেধ করলেও কর্ণপাত করে না তাঁরা।

    এদিকে দখল, দূষণ আর পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ২০১৯ সালের শেষের দিকে শুরু হয় খননকাজ। প্রায় ২ হাজার ৭৬৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে নদের ২২৭ কিলোমিটার খনন করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। খননের পর যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের সংযোগস্থল জামালপুরের কুলকান্দি থেকে কিশোরগঞ্জের টোক পর্যন্ত নদটি ৩০০ ফুট প্রশস্ত ও শুষ্ক মৌসুমে ১০ ফুট গভীর রাখার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও খনন হয়েছে মাত্র ৩০ শতাংশ। প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

    বিষয়টি অস্বীকার করে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোঃ আরিফুর রহমান জানান, আমাদের সিটি কর্পোরেশন থেকে ব্রহ্মপুত্র নদে কোন ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয় না, বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

    এর আগে, ২০২৪ সালের নভেম্বরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নে নেওয়া প্রকল্পের আওতায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীর দখল করে গণশৌচাগার নির্মাণের চেষ্টা করে সিটি করপোরেশন। তবে জনবহুল প্রয়োজনীয় স্থানে শৌচাগার নির্মাণ না করে ব্রহ্মপুত্রপাড়ে গণশৌচাগার নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। এতে বাধার মুখে গণশৌচাগার নির্মাণের কাজটি ভেস্তে যায়।

    ক্ষোভ প্রকাশ করে ব্রহ্মপুত্র সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আবুল কালাম আল আজাদ বলেন, ময়লা ফেলে নদ দখল করা, এটা সিটি কর্পোরেশনের একটা চরম দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ। আমাদের তো মনে হয়, সিটি কর্পোরেশনের এটা একটা পরিকল্পিত কাজ। এর আগেও নদের জায়গা দখল করে গণশৌচাগার নির্মাণের চেষ্টা করেছিল সিটি কর্পোরেশন কিন্তু আমাদের বাধার মুখে সে কাজটি আর করতে পারেনি।

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…