শরীয়তপুরের জাজিরায় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান কুদ্দুস ব্যাপারীকে র্যাব-৮ এবং র্যাব-৩ এর যৌথ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
রবিবার (০৬ এপ্রিল) বিকেলে বরিশাল নগরীর শহরের রুপাতলী র্যাব-৮ সদর দপ্তরে অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট নিস্তার আহমেদ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নিস্তার আহমেদ জানান, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানাধীন বিলাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে কুদ্দুস বেপারী এবং জলিল মাদবর প্রার্থী ছিলেন। ওই নির্বাচনে কুদ্দুস বেপারী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয় এবং জলিল মাদবর পরাজিত হয়। নির্বাচনের পর দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে চরম বিরোধ চলে আসছিল এবং উভয় পক্ষ একাধিকবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে যাতে বেশ কয়েকজন নিহত ও বহু লোক আহত হয়েছে।
এরই জের ধরে গত ৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৭টায় শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানাধীন বিলাসপুর ইউনিয়নের কাজিয়ারচর গ্রামের জসিম ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ির সামনে অভিযুক্তদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে উভয়পক্ষ এলোপাতাড়ি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। ওইদিন সকাল সাড়ে ৮টায় দ্বিতীয়বারের মত শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানাধীন বিলাসপুর ইউনিয়নের মুলাই বেপারীকান্দি গ্রামে ফসলের মাঠে পুনরায় এলোপাতাড়ি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
র্যাব আরো জানায়, গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানায় বিভিন্ন অপরাধের জন্য ১৯টি এবং ঢাকা মহানগরের বিমানবন্দর ও ভাটারা থানায় একটি করে মামলা রয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে রাজধানী ঢাকার শাহজাহানপুর থানাধীন মুমিনবাগ এলাকা থেকে কুদ্দুস বেপারীকে গ্রেফতার করা হয়।
অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছে র্যাব।