চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের উত্তর আমিরাবাদ গ্রামের ঘোনাপাড়ায় এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রম ও নিজস্ব অর্থায়নে টংকাবতী খালের উপর কাঠ ও লোহা দিয়ে সেতু তৈরি করেছেন।
মঙ্গলবার (০১ এপ্রিল) কাজটি শুরু করে শুক্রবারে নির্মান কাজ শেষ করেন এলাকাবাসী। এতে তাদের প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মত খরচ হয়েছে বলে জানান সেতু নির্মানের উদ্যোক্তারা। স্থানীয় বাসিন্দা ও সেতু নির্মানের উদ্যোক্তা শাহাদত, সাইফুল, আব্দুর রহিম ও রেজাউল করিম জানান, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম এলে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে এই বাঁশের সাঁকো ভেসে যায়। কিছুদিন আগেও পাহাড়ি ঢলে সাঁকোটি পানির স্রোতে ভেসে যায়। তাই তাঁরা এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে এবং নিজেদের অর্থে এখানে নতুন একটি লোহা ও কাঠ দিয়ে সেতু তৈরি করেছেন। এখানে একটা স্থায়ী সেতু তৈরির জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তাঁরা।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন সময় স্থায়ী সেতু নির্মানের আশ্বাস দিলেও, কথা দিয়ে কথা রাখে নি বলে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের। এ সেতু দিয়ে এলাকার পদুয়া বাজার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা সদর, উত্তর আমিরাবাদ এম.বি উচ্চ বিদ্যালয়, উত্তর আমিরাবাদ সরকারি প্রা.বিদ্যালয়,পদুয়া মাদরাসা,ওআইসি মহিলা মাদরাসা, বার আউলিয়া ডিগ্রী কলেজ, সাতকানিয়া সরকারি কলেজসহ ৪ গ্রামের প্রায় দুই হাজার পরিবারের প্রায় ১০ হাজার মানুষ চলাচল করে। প্রতিদিন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংকে লেনদেন, বাজারঘাটসহ প্রতিটি কাজের জন্য চলাচল করতে হয় তাদের।
একাদশ শ্রেণীর ছাত্র রাজ্জাক বলেন, আমাদের বর্ষাকালে কলেজে যেতে খুব কষ্ট হয়, মাঝেমাঝে পানি বেড়ে গেলে যেতেও পারি না। এখন সেতুটি ভালোভাবে নির্মিত হলে আমাদের আর কষ্ট হবে না।
ব্রীজ তৈরির মূল উদ্যোক্তা ব্যবসায়ী মোঃ হেলাল উদ্দীন জানান, আমরা সরকারের কাছে বারবার দাবি জানিয়েও সেতু না পেয়ে নিজেদের অর্থ ও শ্রম দিয়ে সেতুটি তৈরি করেছি। এতে খরচ হয়েছে প্রায় তিন লাখ টাকার মত। বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল ছিল ঝুঁকিপূর্ণ তাই কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। তবে আগামী বর্ষায় হয়তো পানির প্রবল স্রোতে সেতুটি চরাগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। তখন আবারও দুর্ভোগ বাড়বে।
এসআর