এইমাত্র
  • তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে ডলারের মান
  • মুন্সীগঞ্জে বিদেশী পিস্তল ও ম্যাগাজিনসহ শিক্ষক গ্রেফতার
  • নড়াইলে দেশীয় অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার ১
  • শাহজাদপুরে খাস জমি দখলকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত ২০
  • কাউখালীতে ওয়ারেনটভুক্ত আসামিসহ গ্রেপ্তার ৪
  • পুলিশের চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ লেনদেন, গ্রেফতার ২
  • ‘মার্চ ফর গাজা’: শাহবাগে থমকে আছে মেট্রোরেল
  • জামায়াতকে ক্ষমতায় দেখতে চেয়ে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি
  • বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন: আসামি গ্রেফতারে লাগবে ঊর্ধ্বতনের অনুমতি
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাক ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
  • আজ শনিবার, ২৯ চৈত্র, ১৪৩১ | ১২ এপ্রিল, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    বিএনপি নেতাকে এমপি নির্বাচিত করতে আ'লীগের একাট্টার ঘোষণা ইউপি চেয়ারম্যানের

    বিল্লাল হোসেন, যশোর প্রতিনিধি প্রকাশ: ৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১০ এএম
    বিল্লাল হোসেন, যশোর প্রতিনিধি প্রকাশ: ৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১০ এএম

    বিএনপি নেতাকে এমপি নির্বাচিত করতে আ'লীগের একাট্টার ঘোষণা ইউপি চেয়ারম্যানের

    বিল্লাল হোসেন, যশোর প্রতিনিধি প্রকাশ: ৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১০ এএম

    যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা টিএস আইয়ূবের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে কাজ করছেন। আগামীতে সকল চেয়ারম্যান তার নেতৃত্বেই কাজ করবে। বাঘারপাড়ার উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাকে নির্বাচিত করেই আমরা ঘরে উঠব।

    বাঘারপাড়ার জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম তিব্বতের এমন বক্তব্য শনিবার রাত (৫ এপ্রিল) থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এক মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের এই ভিডিও নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে। বিএনপি নেতাকে এমপি বানাতে আওয়ামী লীগনেতাদের একট্টা হওয়ার ঘোষণায় নিজ দলের নেতাকর্মীরা রীতিমতো বিব্রত।

    স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়নের জয়ারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে গত ৪ ও ৫ মার্চ দু’দিনব্যাপি বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনের প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব। প্রথম দিন রাতের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম তিব্বত। তার বক্তব্য তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। এছাড়াও তিব্বত তার বক্তব্য আরো বলেন, বাঘারপাড়ার শেষ ঠিকানা হচ্ছে টিএস আইয়ূব। আগামীতে নয়টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তার নেতৃত্বেই চলবে।

    আরিফুল ইসলাম তিব্বতের এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়। তার নিজ দলের নেতা কর্মীরা তার বিপক্ষে বিভিন্ন মন্তব্য করতে থাকেন। উপজেলার বিভিন্ন আড্ডায় ও চায়ের দোকানে এ বিষয়টি নিয়েই আজ দিনভর ছিলো প্রধান আলোচনা। অনেকেই অন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে ফোন করে জানতে চেয়েছেন, আসলেই সব চেয়ারম্যানরা টিএস আইয়ূবের সাথে একাত্মতা হয়েছেন কিনা।

    উল্লেখ্য, আরিফুল ইসলাম তিব্বত জামদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাঘারপাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক। বাঘারপাড়া উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের সাতটিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিজয়ী হন। এর মধ্যে আরিফুল ইসলাম একজন। রায়পুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র ও বন্দবিলা ইউনিয়নে নির্বাচিত হয় ওয়ার্কাস পার্টির প্রার্থী।

    বন্দবিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সবদুল হোসেন খান জানিয়েছেন, আরিফুল ইসলাম তিব্বত যে বক্তব্য দিয়েছেন তা তার নিজস্ব মতামত। বাঘারপাড়ায় ইউপি চেয়ারম্যানদের কোন বৈঠকে টিএস আইয়ূবের সাথে একাত্মতা প্রকাশের ঘোষণা হয়নি। দোহাকুলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোতালেব তরফদার জানিয়েছেন, তিব্বত যখন বক্তব্য দিয়েছে তখন সে সুস্থ ছিলো কিনা আমার সন্দেহ হয়। টিএস আইয়ূব একটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে আছেন। ইউনিয়ন পরিষদের কাজে কর্মে তার সাথে যোগাযোগ করা বা একসাথে কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার বিষয়টি ঘটতেই পারে। তার মানে এই নয় যে, ঘোষণা দেবেন বাঘারপাড়ার সব চেয়ারম্যানরা টিএস আইয়ূবের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।

    বন্দবিলা ইউপি চেয়ারম্যান সব্দুল হোসেন খান জানিয়েছেন, বাকি আট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা তিব্বতের ওই বক্তব্যের আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ করবেন। এ বিষয়ে জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম তিব্বত জানিয়েছেন, ‘অনুষ্ঠানের প্রথম দিন বিকেলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোলযোগ হয়। প্রায় তিন ঘন্টা অনুষ্ঠান বন্ধ ছিল। সন্ধ্যায় পরিস্থিতি সামাল দিতে আমি ওই বক্তব্য দিয়েছি।

    এদিকে, বিএনপি নেতাকে এমপি বানাতে আ’লীগ নেতার একট্টা হওয়ার ঘোষণায় বিব্রত বিএনপির নেতাকর্মীরা। একই সাথে সমালোচনার সৃষ্টি হচ্ছে। উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আলম টিপু বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারা জনরোষে পড়ার ভয়তে সামনে আসছে না। অথচ বাঘারপাড়ার সকল চেয়ারম্যান অফিস করছে। ওইসব চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে টিএস আইয়ূব মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছে এবং বিএনপিতে পুর্নবাসন করছে বলেই তারা প্রকাশ্যে তার হয়ে কাজ শুরু করছে। আওয়ামী লীগের নেতারা টিএস আইয়ূবের পক্ষে কাজ করায় আমরা বিব্রত লজ্জাবোধ করছি।’ এই বিষয়ে বিএনপি নেতা টিএস আইয়ূবের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

    তবে পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই মনা বলেন, ‘তিব্বতের বক্তব্য তার অনিয়ম দুর্নীতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। আইযূবের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই সে পরিষদ চালাচ্ছে। এতে আমরা বিব্রত। দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ। দলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জায়গা দেওয়াতে অনেক বিএনপি নেতারা রাজনীতি থেকে নিস্ক্রিয় হতে চাইছেন।

    এনআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…