চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে দু'পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫ জন গুরুতরসহ কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়েছে।
শনিবার (০৫ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের গৌড়স্থান লাকড়ি পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়েছে। তাদেরকে উদ্ধার করে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়, তন্মধ্যে ৫ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
গুরুতর আহতরা হলেন- উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের গৌড়স্থান এলাকার ফরিদ উদ্দীন চৌধুরী পুত্র ফারুক উদ্দীন চৌধুরী (৩৬), মৃত আব্দুর রশিদের পুত্র নুরুল আমিন (৪৮), মুহাম্মদ ইসহাকের পুত্র মুহাম্মদ ফারুক (৩৬), গোলাম কাদেরের পুত্র ফরিদুল আলম (৬০), মৃত আবুল কাশেমের পুত্র মুহাম্মদ এরশাদ (৩৮)।
এই ঘটনায় আরও যারা আহত হয়েছেন, একই এলাকার বাবর খাঁন চৌধুরীর পুত্র সাইফুল ইসলাম (৩৭), মুহাম্মদ এরশাদের পুত্র শাউন আহমদ (২৭), আবুল কাশেমের পুত্র শায়েস্তা খাঁন (৩২), মৃত সিরাজ মিঞার পুত্র বাবর খাঁন চৌধুরী (৬৫), আবুল কাশেমের পুত্র হামিদ হোসেন দাউলাত (২১), আবুল কাশেমের পুত্র মুহাম্মদ ইয়াছিন(২০), তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
জানা যায়, গুরুতর আহত ঐ এলাকার ফরিদ উদ্দিন চৌধুরীর পুত্র ফারুক উদ্দিন চৌধুরী পারিবারিক দাওয়াত শেষে নিজের গাড়িটি চালিয়ে ফিরছিল, আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা ৩০/৪০ জনের একটি দল হঠাৎ গাড়ির সামনে ব্যারিকেড দিয়ে গাড়িটিকে থামিয়ে ভাংচুর চালায়, এক পর্যায়ে কিছু বুঝে উটার আগেই তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে উপর্যুপরি তাকে মারধর করে রক্তাক্ত করে, বাড়ির কাছে হওয়ায় খবর পেয়ে দু'পক্ষের লোকজন জড়ো হয় এবং রক্তাক্ত সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রক্তাক্ত অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়। এই ঘটনায় ঐ এলাকায় এখনো উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, চৌধুরী পাড়া এবং সোনাইবর পাড়ার মাঝে আগে থেকেই তুচ্ছ ঘটনা নিয়েও মারামারি হাতাহাতি হয়, দুই পাড়ার মধ্যে পূর্বে থেকে শত্রুতা লেগে আছে, এই শত্রুতা থেকেই মূলত এই ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, দ্রুত ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী না আসলে আরও হতাহতের সম্ভাবনা ছিল।
এ ঘটনায় লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে, ভাংচুরকৃত গাড়িটি থানা হেফাজতে আনা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত এই ঘটনায় কোন পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এআই