বার্ড ফ্লুর (এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা) থাবায় ধ্বংস হতে চলেছে যশোর সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামার। গত ২০০৮ সাল সাথে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ৪ বার এই ভয়ানক ভাইরাসের আক্রমণে মুরগি উৎপাদনে ধস নেমেছে। বার বার কেনো বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হচ্ছে তার কারণ চিহ্নিত করতে বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের গত ১২ মার্চ যশোর সরকারি মুরগির খামারে বেশ কয়েকটি মুরগি মারা যায়। পরে নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকার ল্যাবে পাঠানো হয়। ১৩ মার্চ বার্ড ফ্লুর সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর খামারের ৬টি শেডের ২ হাজার ৭৮টি মুরগি মেরে পুতে ফেলা হয়। এর আগে ২০১৪ সালের ২৪ মার্চ খামারের ৩/৪টি মুরগি মারা যায়। দুই পর আরও তিনশ’ ৯৩ মুরগির মৃত্যু হয়। ঢাকার মহাখালী ল্যাবে ২৬ মার্চ নমুনা পরীক্ষায় বার্ড ফ্লু জীবাণু শনাক্ত হয়। ২৭ মার্চ খামারের ৬ হাজার ৮৬৮ টি মুরগি, ১৮শ’ ৮২টি মুরগির ডিম, ১৩ শ’ কেজি মুরগির খাবার ও ১৯ কেজি ভিটামিন ধ্বংস করে কর্মকর্তারা। এছাড়াও ২০১২ সাল ও ২০০৮ সালে যশোর সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামারে বার্ড ফ্লু শনাক্ত হয়।
যশোর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল হক জানান, যশোর সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামারের সব মুরগি পুতে ফেলা হয়েছে। সেখানকার শেডগুলো এখন নিরাপদ। ফলে আতঙ্কের কোন কারণ নেই। অন্য খামারিদের সচেতন করা হচ্ছে।
যশোর সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামারের উপ পরিচালক বখতিয়ার হোসেন জানান, এখন খামারে কোনো মুরগি নেই। শেডগুলো জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু এখনি খামারে মুরগি উৎপাদন করা যাবে না। অধিদপ্তরের নির্দেশনা আসার পর নতুন করে মুরগি উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। তিনি আরও জানান, বার বার খামারে কেনো বার্ড ফ্লু আক্রমণ করছে তার কারণ চিহ্নিত করতে বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন। সীমান্তবর্তী জেলার বিষয়টিও মাথায় নেয়া হয়েছে। আতঙ্কিত না হয়ে মানুষকে সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়েছেন তিনি।
এআই