এইমাত্র
  • নভেম্বরে ৫৩৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৮৩ ও আহত ১৩১৭ জন
  • ছয় মাসের মাথায় চাকরি হারালেন আনচেলত্তি
  • নিকুঞ্জের সামনে ট্রাক উল্টে এয়ারপোর্ট রোডে তীব্র যানজট
  • রাজধানী থেকে এনসিপি নেত্রীর মরদেহ উদ্ধার
  • খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে ব্রিফিং করবেন ব্যক্তিগত চিকিৎসক
  • ভারতীয় ভিসা সেন্টার চালু
  • মানবতাবিরোধী অপরাধে ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল
  • যেসব এলাকায় আজ টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না
  • মালয়েশিয়ার অভিযানে ৭২ বাংলাদেশিসহ আটক ৪০২ জন
  • প্রবাসীদের বড় ধরনের সুসংবাদ দিলো সৌদি আরব
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৪ পৌষ, ১৪৩২ | ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    জীবনের জন্য একটি লড়াই, খায়রুল ইসলামের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান

    ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৬ পিএম
    ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৬ পিএম

    জীবনের জন্য একটি লড়াই, খায়রুল ইসলামের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান

    ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৬ পিএম

    রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ছোট্ট গ্রাম জাঙ্গালপাড়ায় বাস করতেন মোঃ খায়রুল ইসলাম। জীবন ও জীবিকার জন্য নিরলস পরিশ্রম করতেন তিনি। একসময় পেয়ারা ব্যবসাকে আঁকড়ে ধরেছিলেন খড়খড়ি থেকে পেয়ারা কিনে গ্রামের হাটে বিক্রি করতেন। তার স্বপ্ন ছিল, নিজের পরিশ্রমের গাঁথুনি দিয়ে পরিবারকে একটু সচ্ছল জীবনে পৌঁছে দেবেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম আঘাত তাকে ঠেলে দিয়েছে এক নির্মম বাস্তবতার মুখোমুখি।

    সেদিনটিও ছিল এমনই এক ব্যস্ত সকাল। খায়রুল ইসলাম প্রতিদিনের মতো খড়খড়ি বাজার থেকে পেয়ারা কিনে ফিরছিলেন বাগমারায়। কিন্তু পথে ঘটে যায় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। অজান্তেই থমকে যায় তার স্বপ্নের পথচলা। দুর্ঘটনার পর তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বেড নম্বর ৩৬-এ। চিকিৎসকদের ভাষায়, তার অবস্থা এতটাই গুরুতর যে, জীবন বাঁচাতে তার একটি পা কেটে ফেলতে হবে।

    খায়রুল ইসলাম কোনো বড় ব্যবসায়ী ছিলেন না। ছোট্ট পুঁজির উপর ভর করে দিন পার করতেন। প্রতিদিন সকালে উঠে বাজারে ছুটে যেতেন, কখনো বৃষ্টি, কখনো প্রচণ্ড গরম, কোনো বাধাই তাকে থামাতে পারত না। কারণ, তার পেছনে ছিল একটি ছোট্ট পরিবার, যারা তাকিয়ে থাকত তার ফেরা পথের দিকে।

    "ও আমাদের সংসারের একমাত্র ভরসা ছিল," বলছিলেন খায়রুল ইসলামের স্ত্রী। কণ্ঠে চাপা কান্না, "এখন তো সবকিছুই থমকে গেছে। চিকিৎসার খরচ চালাতে চালাতে যা ছিল, সব শেষ। এখন আর কোনো উপায় নেই।" একজন পরিবারের আশ্রয়দাতা এখন নিজের জীবন বাঁচাতেই মানুষের দয়ার অপেক্ষায়।

    রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খায়রুল ইসলামের পায়ের ইনজুরি এতটাই গুরুতর যে দ্রুত অস্ত্রোপচার করা না হলে তার প্রাণ হুমকির মুখে পড়বে। তবে অস্ত্রোপচার, পরে ওয়ার্ডের চিকিৎসা, ওষুধপত্র এবং দীর্ঘ পুনর্বাসন — সব মিলিয়ে ব্যয় হবে মোটা অঙ্কের অর্থ, যা এখন তার পরিবারের জন্য কল্পনারও বাইরে।

    তার বড় ভাই জানান, "চিকিৎসার জন্য প্রাথমিকভাবে যা ছিল, ধারদেনা করে জোগাড় করেছি। কিন্তু এখন আর সামর্থ্য নেই। প্রতিদিন হসপিটালের বিল, ওষুধ, ড্রেসিং, সবকিছুই টাকার খেলা।"

    এই মুহূর্তে মোঃ খায়রুল ইসলাম বেঁচে থাকার লড়াইয়ে দিন গুনছেন, যেখানে সামান্য সাহায্যও তার জন্য হতে পারে নতুন জীবনের আশার আলো।

    মানবতার এই সংকটে আমরা কি পাশে দাঁড়াব না? মোঃ খায়রুল ইসলামের জন্য সামান্য সাহায্যও হতে পারে এক বিশাল আশীর্বাদ। তার পরিবার এখন আশার চোখে তাকিয়ে আছে সমাজের বিবেকবান মানুষের দিকে। কেউ যদি ১০০ টাকা দেন, তাও তার জন্য বড় সহায়তা। কারণ, জীবন বাঁচাতে এখন প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ। যারা সাহায্য করতে চান, তারা বিকাশ বা নগদ নম্বরে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন: ০১৭৭৪৫৯২১৫৪।

    একটি সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিলে হয়তো আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন খায়রুল ইসলাম। আবার হয়তো হাসি ফিরবে তার পরিবারের মুখে। আবার হয়তো তিনি নতুন করে দাঁড়িয়ে জীবনের সাথে লড়তে পারবেন।

    আপনি চাইলে বিকাশ বা নগদের মাধ্যমে সরাসরি অর্থ পাঠাতে পারেন। সাহায্যের টাকা পাঠানোর পর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে তারা আপনাকে তাদের কৃতজ্ঞতা জানাবে। এই সহযোগিতা যেন হয় মন থেকে, মানবতার টানে।

    একজন মানুষের জীবন বাঁচানোর চেয়ে বড় দান আর কিছুই হতে পারে না। আসুন, আমরা সবাই মিলে এই ছোট্ট পরিবারটির পাশে দাঁড়াই। কারণ, আজ খায়রুল ইসলামের পরিবার সংকটে, কাল হয়তো আমাদের কারো হতে পারে।

    আপনার একবারের শেয়ারও পারে অনেক মানুষের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিতে। তাই দয়া করে এই আবেদনটি যত বেশি সম্ভব ছড়িয়ে দিন। আপনার শেয়ার, আপনার সাহায্য হতে পারে খায়রুল ইসলামের জীবনে এক নতুন সূর্যোদয়ের গল্প।

    যোগাযোগ: মোঃ খায়রুল ইসলাম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ৩১ নম্বর ওয়ার্ড, বেড নং ৩৬ মোবাইল নম্বর: ০১৭৭৪৫৯২১৫৪ (বিকাশ, নগদ) (নিউজ শেয়ার করুন। সাহায্য করুন। মানবতার হাত বাড়িয়ে দিন।)

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…