এইমাত্র
  • বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১২০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি
  • কুয়াকাটায় চাঁদাবাজি মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ
  • পুরো আইপিএলের জন্য এনওসি পাবে মুস্তাফিজ, তবে
  • নভেম্বরে ৫৩৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৮৩ ও আহত ১৩১৭ জন
  • ছয় মাসের মাথায় চাকরি হারালেন আনচেলত্তি
  • নিকুঞ্জের সামনে ট্রাক উল্টে এয়ারপোর্ট রোডে তীব্র যানজট
  • রাজধানী থেকে এনসিপি নেত্রীর মরদেহ উদ্ধার
  • খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে ব্রিফিং করবেন ব্যক্তিগত চিকিৎসক
  • ভারতীয় ভিসা সেন্টার চালু
  • মানবতাবিরোধী অপরাধে ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৪ পৌষ, ১৪৩২ | ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    বিজয়নগরে সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া (দক্ষিণ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৫ পিএম
    ব্রাহ্মণবাড়িয়া (দক্ষিণ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৫ পিএম

    বিজয়নগরে সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া (দক্ষিণ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৫ পিএম

    ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় অবৈধ মাটির ব্যবসা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিক মাইনুদ্দিন রুবেলের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।

    গত শনিবার রাতে আহত সাংবাদিক বাদী হয়ে বিজয়নগর থানায় এই মামলা দায়ের করেন। স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও যুবদলের বহিষ্কৃত নেতাসহ ১৩জনকে আসামী করা হয়।

    মাইনুদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ও দেশ রূপান্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা হিসেবে কর্মরত। তিনি বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটিদাউদপুর গ্রামের বাসিন্দা। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তিনি জেলা শহরের দক্ষিণ মৌড়াইলে একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।

    মামলায় যাদের আসামী করা হয়েছে তারা হলেন উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব থেকে বহিস্কৃত নেতা মোখলেছুর রহমান ওরফে লিটন মুন্সি (৪০), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাইয়ুম মিয়া (৫৫), কাইয়ুমের ছেলে মো. মুন্না (৩০), রাসেল মিয়া (২৮) ও মোবারক মিয়া (২৫), কাইয়ুমের চাচাতো ভাই ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আনিছ মিয়া (৫৩) ও রুবেল মিয়া (৩৫), ভাতিজা ও আনিছের ছেলে আল আমিন (৩২), স্বজন বাবুল মিয়া (৫৭), আশরাফুল (৩২), ফয়সাল মিয়া (৩০), তিতন মিয়া (৫০) ও মামুন মিয়া (৩৩)। তারা বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা।

    মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কাইয়ুম ও যুবদল নেতাসহ মামলার আসামীরা কিছুদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ভেকু দিয়ে ফসলিজমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে ট্রাক্টরে নিয়ে বিক্রি করে আসছেন। পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন পুকুর ভরাটসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছেন। এসব বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় আসামীরা সাংবাদিক মাইনুদ্দিন রুবেলকে প্রাণে হত্যার পরিকল্পনাসহ হুমকি দিয়ে আসছিল। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় পারিবারিক কাজ শেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন মাইনুদ্দিন রুবেল ।

    রাত পৌনে আটটার দিকে মির্জাপুর মৌড়ের উপজেলা পরিষদের সামনের রাস্তায় পৌঁছালে আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকা সকল আসামী পরস্পর যোগসাজসে পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র রামদা. বল্লম, কাঠের রুল, লোহার রড ইত্যাদি মারাত্মক প্রাণঘাতি অস্ত্রাদি নিয়ে সাংবাদিক মাইনুদ্দিনের পথরোধ করে।কারণ জানতে চাইলে মাইনুদ্দিনের হাত-পা কেটে সাংবাদিকতার সাধ মিটিয়ে দিতে সকল আসামীদের নির্দেশ দেন যুবদল নেতা মোখলেছুর ওরফে লিটন মুন্সী। আসামী কাইয়ুম মিয়া হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে সাংবাদিক মাইনুদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কুপ দেন। বাম হাত দিয়ে প্রতিহতের চেষ্টা করলে কনুইয়ের নিচের অংশ ভেঙ্গে যায় ও মাথার ডানপাশে আঘাত পান তিনি।

    মাটিতে লুটিয়ে পড়লে অন্যান্যরা আসামীরা লোহার রড, ছুরিসহ দেশীর অস্ত্র দিয়ে মাইনুদ্দিনকে এলোপাথারি মারধ করেন।মারধরে মাইনুদ্দিন ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল, বুকের ডান পাশের অংশ কেটে যায়। চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। বর্তমানে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

    আহত সাংবাদিকের বড় বোন সালমা আক্তার বলেন, ছোটবেলা থেকে অনিয়ম ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করে আসছে আমার ভাই রুবেল। বর্তমানে আমার ভাই সাংবাদিকতা করেন।বিভিন্ন অনিয়ম ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিউজ প্রকাশ করে। তাই মেরে ফেলতেই উপজেলার সন্ত্রাসীরা আমার ভাইয়ের ওপর হামলা করেছে।আসামীরা প্রভাবশালী ও সম্পদশালী।সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা খুব সহজ। এখন তারা আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা ও সাজানো গল্প ছড়াচ্ছেন।কিন্তু আমার ভাই সত্যের পক্ষে কাজ করছেন। আমার ভাইয়ের ওপর হামলাকারীদের সকলকে অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।

    বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…