গত ১২ এপ্রিল অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়র কণ্ঠস্বর-এ “গাজীপুরে স্বাস্থ্য পরিদর্শক জিয়ার দাপট, অসহায় সাধারণ কর্মীরা” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন গাজীপুর সদর উপজেলার সাবেক স্বাস্থ্য পরিদর্শক জিয়াউল হক।
প্রতিবাদপত্রে জিয়াউল হক দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিনি অভিযোগ করেন, কাশিমপুর পশ্চিম এনায়েতপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি (CHCP) মাজহারুল ইসলাম ব্যক্তিগত আক্রোশের বশবর্তী হয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য সরবরাহ করেছেন। জানা গেছে, মাজহারুল ইসলাম বর্তমানে দায়িত্বে অবহেলার কারণে মহাখালীর সিবিএইচসি (CBHC) কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছেন এবং তার বেতন-ভাতা স্থগিত রয়েছে।
জিয়াউল হক আরও জানান, ছুটি অনুমোদন, শোকজ নোটিশ ইত্যাদি প্রদান তার দায়িত্বের আওতাভুক্ত নয়; এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। পাশাপাশি, সংবাদে ইনচার্জ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার যে দাবি করা হয়েছে, তা বাস্তবে তার ব্যক্তিগত অসুস্থতার কারণে এবং তার নিজের আবেদনের প্রেক্ষিতে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে ওই দায়িত্বে নিয়োজিত হয়েছেন স্বাস্থ্য পরিদর্শক শাহনাজ আক্তার।
জিয়াউল হক বলেন, আমি এই ধরনের বিভ্রান্তিকর সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের সংবাদ প্রকাশের পূর্বে উভয় পক্ষের বক্তব্য যাচাই করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করার অনুরোধ জানাই।
প্রতিবেদকের বক্তব্য:
গাজীপুর সদর উপজেলার স্বাস্থ্য পরিদর্শক জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে অনুসন্ধানের ভিত্তিতে গত ১২ এপ্রিল সংবাদটি প্রকাশ করা হয়। অনুসন্ধানকালে একাধিক কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মী অভিযোগ করেন যে, ছুটি অনুমোদনের জন্য জিয়াউল হককে অর্থ, উপহার ও নানা সুবিধা দিতে হয়। ট্রেনিং-এ পাঠানোর ক্ষেত্রেও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এসংক্রান্ত তথ্য, বক্তব্য প্রতিবেদনে উল্লেখ ছিল। যার কিছু অডিও ও ভিডিও সাক্ষ্যও সংরক্ষিত রয়েছে। এখানে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনো বক্তব্য বা মন্তব্য নেই।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে একাধিকবার স্বাস্থ্য পরিদর্শক জিয়াউল হককে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।