কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে দুই সভাপতি প্রার্থী আক্তার বেপারী ও মাজেদুল ইসলাম মিন্টুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় একটি মাইক্রোবাস ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল চারটার দিকে উপজেলার মোহনপুর-উজিরাকান্দি ব্রিজের পশ্চিম পাশে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মজিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় মোহনপুর দাখিল মাদ্রাসা মাঠে। তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে কাউন্সিলস্থলে আসতে শুরু করলে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এ সময় সভাপতি প্রার্থী মাজেদুল ইসলাম মিন্টুর বহরে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে অপর প্রার্থী আক্তার বেপারী ও তাঁর সমর্থকরা হামলা চালায়। সংঘর্ষের একটি ভিডিও পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আক্তার বেপারী বলেন, 'আমি সম্মেলনস্থলে ছিলাম। বহিরাগত লোকজনের প্রবেশের খবর পেয়ে তাদের ফিরিয়ে দিয়েছি। বহিরাগতদের মিন্টু এনেছে বলেই সন্দেহ করছি।' অপর প্রার্থী মাজেদুল ইসলাম মিন্টু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, 'আমি কাউন্সিলে কোনো বহিরাগত লোক আনি নাই। যারা এসেছে, সবাই আমাদের এলাকার কর্মী। বরং আক্তার বেপারী নিজে আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। এ সময় আমার কর্মীদের বহনকারী একটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করা হয়।'
এ প্রসঙ্গে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. ওসমান গনি ভূঁইয়া বলেন, 'সংঘর্ষের ঘটনাটি কাউন্সিলস্থল থেকে বেশ দূরে ঘটেছে। তবে আমাদের মূল কাউন্সিল শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হয়েছে।'
তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদ উল্যাহ বলেন, 'সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে তাদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।'
স্থানীয়রা জানান, সংঘর্ষের পর এলাকায় কিছু সময়ের জন্য আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে পুলিশি তৎপরতায় পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়।
উল্লেখ্য, মজিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিল নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই দুই সভাপতি প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সংঘর্ষের এই ঘটনায় তৃণমূল পর্যায়ে দলীয় শৃঙ্খলা ও ঐক্যের বিষয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
এনআই