জ্যৈষ্ঠের শেষে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় ছাতা বিক্রেতা ও কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে। ঋতু পরিক্রমায় এখন চলছে জ্যৈষ্ঠ মাস। অবিরাম বৃষ্টি না হলেও থেমে থেমে, আবার কখনো একটানা মুষলধারে ভারি বর্ষণ হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বাজারে বিকিকিনি বেড়ে গেছে রোদ-বৃষ্টির অন্যতম অনুষঙ্গ ছাতার। ব্যস্ততা বেড়েছে ছাতার কারিগরদের।
মঙ্গলবার (০৩ জুন) দুপুরে ভাঙ্গুড়া উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ছাতা মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ছাতা কারিগররা।
রোদ-বৃষ্টির খেলায় বাজারে বেড়েছে ছাতার বিকিকিনি। আর চাহিদার ওপর বেড়েছে কারিগরদের ব্যস্ততা। কার ছাতা কে আগে মেরামত করে নেবেন তার জন্য শুরু হয় প্রতিযোগিতা। ভাঙ্গুড়া উপজেলায় বেশ কিছু ছাতা তৈরির কারিগর রয়েছে, যারা অন্যের দোকানের সামনে বসে সারা বছর কাজ করে থাকেন। ছাতার কারিগররা প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত আয় করেন। কারিগররা হাতের সুনিপুণ কাজে সারিয়ে তোলেন ছাতার সমস্যা। আর বিনিময়ে পাওয়া অর্থ দিয়ে চালান সংসার। তবে দিন দিন এই পেশার কারিগররা হারিয়ে যাচ্ছে।
জাহাঙ্গীর আলম, রইচ উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন ছাতা কারিগর সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, বর্তমানে প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় ছাতার কাপড়, হাতল, স্প্রিং প্রভৃতি জিনিসপত্র কিনতে হচ্ছে চড়া দামে। সরবরাহ রয়েছে অনেক কম। সারা বছর ধরতে গেলে তাদের বসেই থাকতে হয়। খুব একটা কাজ থাকে না। তবে এই সময়টাতে তাদের কাজের চাপ বেড়ে যায় বহুগুণ।
ভাঙ্গুড়া পৌরসভার চৌবাড়ীয়া মাষ্টার পাড়া মহল্লা থেকে ছাতা মেরামত করাতে আসা আলহাজ্ব শেখ আব্দুস সামাদ মাষ্টার বলেন, 'পাঁচটি ছাতা নষ্ট হয়ে ঘরে পড়েছিল। বৃষ্টির সময় ছাতার দরকার হয়, তাই সারাতে এসেছি।'
ভাঙ্গুড়া উপজেলার শরৎনগর বাজারের কুন্ডু বাসনালয় এন্ড ষ্টোরের মালিক শ্রী তপন কুমার কুন্ডু জানান, 'আমাদের এখানে খুচরা ও পাইকারী ছাতা বিক্রি হয়। বর্তমানে ফোল্ডিং ছাতার চাহিদা একটু বেশি। ভাঁজহীন দেশি ছাতা ২০০ থেকে ২২০ টাকা এবং দেশি-বিদেশি দুই ভাঁজের ছাতা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।'
এআই/এমআর-২