রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ঐতিহাসিক বাঘা শাহী মসজিদে দীর্ঘ ১১ বছর পর রাসায়নিক সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ১৫ দিনব্যাপী এ সংস্কার কার্যক্রম মঙ্গলবার (৩ জুন) শেষ হয়।
প্রায় ৫০০ বছর আগে ১৫২৩-১৫২৪ সালে (৯৩০ হিজরি) হুসেন শাহী বংশের সুলতান নাসিরউদ্দিন নুসরাত শাহ এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। চুন-সুরকির গাঁথুনিতে তৈরি মসজিদটি তার অনন্য টেরাকোটা কারুকাজ ও স্থাপত্যশৈলীর জন্য বিখ্যাত। এতে রয়েছে ১০টি গম্বুজ, ৫টি প্রবেশদ্বার, ৬টি স্তম্ভ ও ৪টি কারুকার্যখচিত মেহরাব।
মসজিদের উত্তর পাশে রয়েছে হজরত শাহ দৌলা ও তার পাঁচ সঙ্গীর মাজার এবং সম্মুখে রয়েছে একটি বিশাল দিঘি, যা জনকল্যাণে খনন করেছিলেন সুলতান নুসরাত শাহ।
সংস্কার কাজের আওতায় মসজিদের প্রাচীর ও অভ্যন্তরের কিছু মাজারে রাসায়নিক পদ্ধতিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সংরক্ষণমূলক কাজ করা হয়েছে।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের বাঘা জনদুঘরের সহকারী কাস্টোডিয়ান মো. দবির হোসেন বলেন, 'বহু চেষ্টার পর সংস্কার অনুমোদন হয়েছে। প্রাচীর ও মাজারের বিশেষ অংশগুলো এখন ঝকঝক করছে। দীর্ঘদিন পর এই কাজ করতে পেরে আমরা গর্বিত।'
বাঘা শাহী মসজিদটি বর্তমানে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধীনে সংরক্ষিত একটি ইমারত। মসজিদটির অনন্য স্থাপত্যশৈলী ও ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারণে এটি দেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
এই সংস্কার কাজের মাধ্যমে মসজিদটির স্থাপত্যিক সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব আরও সুদৃঢ় হয়েছে, যা ভবিষ্যতে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াবে বলে আশা করা যায়।
এনআই