গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে বন বিভাগের ৩ একর ৩০ শতাংশ বনের জমি দখল হয়ে গেছে। স্থানীয় এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে এই জমি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, বন বিভাগ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে একটি প্রভাবশালী মহল ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে মূল্যবান সম্পত্তি দখল করে নিয়েছে। দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা করে কবরস্থান ও খেলার মাঠ করে দেওয়ার দাবি এলাকাবাসীর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপর ফ্লাইওভারের পশ্চিম পাশের মাথায় মহাসড়কের পাশে কালিয়াকৈর রেঞ্জ আওতাধীন কাশিমপুর বনবিটের ৫৩৬ নং মিরপুর মৌজার গেজেটভুক্ত বনভূমি ও ২০ ধারার গেজেটভুক্ত সরকারি সংরক্ষিত বনভূমির সি.এস দাগ- ১৪২ ও ১৮৮, তাহার আর.এস- ৩৩১, ৩৩২ ও ৩৮১ দাগে বন বিভাগের ৩ একর ৩০ শতাংশ জমি রয়েছে।
বন বিভাগের এই জমি দখল করে স্থাপনা তৈরি করেছেন একটি প্রভাবশালী মহল। গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা ও দোকানপাট। তৈরি করা হয়েছে বিশাল আকৃতির সুউচ্চ সীমানা প্রাচীর। মূল্যবান এ জমি বেহাত হলেও জবরদখল ঠেকাতে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বন বিভাগ।
স্থানীয় আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'বন বিভাগের ওই জমি দখল করে প্রথমে আব্দুল মজিদ নামের এক ব্যক্তি ইট ভাটা করে ছিলেন। পরে সিটি করপোরেশন হওয়ার পর ইটভাটা বন্ধ হয়ে যায়। পরে দীর্ঘদিন জমিটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে।'
পরে বনের জমিতে সেলিম শেখ নামের এক ঝুট ব্যবসায়ী গড়ে তুলেন ঝুটের গুদাম ও দোকানপাট। বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এসব মূল্যবান জমি বেহাত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে ঝুট ব্যবসায়ী সেলিম শেখের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে একাধিকবার কল ও খুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি তার মোবাইল ফোনটি রিসিভ করেননি।
জবরদখলের বিষয়ে প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসাইন চৌধুরী বলেন, 'বনভূমির জমি জবরদখলের সুযোগ নেই। তবে আপনি যে বনের জমি জবরদখলের কথা বলছেন, সেই বিষয়টি অতি দ্রুতই উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে বনভূমির জমি পুনরুদ্ধার করা হবে।'
এসআর