মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত জয় সাহা নামে এক আসামি বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানা হেফাজতে থাকা হাজত থেকে পলায়নের ঘটনা ঘটেছে।
তবে পুলিশ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত পর্যন্ত বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করেও ঘটনাটি লুকিয়ে রাখতে পারেনি।
পালিয়ে যাওয়া আসামি জয়কে এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
বরিশালের সচেতন মহল জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, দায়িত্বে থাকা পুলিশের যে সদস্যের কাছ থেকে আসামি পালাবে, তাকেই বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স। পুলিশ হেফাজত থেকে যাতে আসামি পালানোর ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে সতর্কতার অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি বলে জানিয়েছেন বরিশালের সচেতন মহল।
শুধু তাই নয়, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে ২০১৪ সালের মে ও আগস্ট মাসে জারি করা হয়েছিল একটি পরিপত্র। সেখানে আরো উল্লেখ ছিল- আসামি গ্রেপ্তারের পর আদালতে আনা-নেওয়া, কারাগারে নেওয়া বা হাজতে থাকার সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন ও তদারকি কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বরিশালে তার কোনটাই বাস্তবায়ন করতে দেখা যায়নি।
জানা গেছে, রোববার বিকেলে জয় সাহাকে গ্রেফতার করে থানার হাজতে রাখা হয়। রাতের খাবার বিতরণের সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কনস্টেবল হাজতের গেট খোলেন। সে সুযোগে জয় সাহা কনস্টেবলকে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান।
কয়েক স্তরের নিরাপত্তা থাকার পরও হাজতখানা থেকে আসামি পালিয়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এতে জনগণের মাঝে নিরাপত্তাহীনতার উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সুমন আইচ বলেন, ‘কনস্টেবলের অসতর্কতার কারণে জয় সাহা পালিয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে। শীঘ্রই জয় সাহাকে আটক করা হবে।’ তবে সোমবার রাত সাড়ে ১০ টার রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হাজত থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামি জয় সাহাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এই ঘটনায় হাজতখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও পুলিশি তদারকির ঘাটতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আশপাশের এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং স্থানীয়দের সহযোগিতা কামনা করেছে পুলিশ।
তবে এই বিষয়ে জানতে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমানের মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এফএস