এইমাত্র
  • বকশীগঞ্জের এক স্কুলেরই ৬৬ ছাত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা
  • নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে নিরাপত্তা জোরদার
  • যমুনায় জেগে উঠেছে অসংখ্য ডুবোচর, নৌ চলাচল ব্যাহত
  • সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে এভারকেয়ার ছাড়লেন হাদি
  • আগামীকাল সাময়িক বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল
  • হাদি গুলিবিদ্ধের ঘটনায় গুজবে সয়লাব ফেসবুক : ফ্যাক্টওয়াচ
  • কওমী মাদ্রাসার বোর্ড পরীক্ষার সময়সূচি এগিয়ে আনা হয়েছে
  • কলম্বিয়ায় স্কুলবাস খাদে পড়ে নিহত ১৭
  • হাদির ওপর হামলায় নির্বাচনে প্রভাব পড়বে না: সিইসি
  • হাদিকে গুলি করা অভিযুক্ত মাসুদের ভারতে গিয়ে সেলফি
  • আজ সোমবার, ১ পৌষ, ১৪৩২ | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    ভৈরবে সাংবাদিক কে প্রাণনাশের হুমকি

    ইমন মাহমুদ লিটন, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১:০২ এএম
    ইমন মাহমুদ লিটন, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১:০২ এএম

    ভৈরবে সাংবাদিক কে প্রাণনাশের হুমকি

    ইমন মাহমুদ লিটন, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১:০২ এএম

    কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সাংবাদিক মো. মিজানুর রহমান পাটোয়ারীকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গত ২৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ভৈরব থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

    মো. মিজানুর রহমান পাটোয়ারী (৪১) দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার ভৈরব প্রতিনিধি ও স্থানীয় দৈনিক গৃহকোণ-এর নিজস্ব প্রতিনিধি এবং ভৈরব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক। তিনি ভৈরব পৌর শহরের কমলপুর (পূর্ব) মহল্লার খলিল পাটোয়ারী বাড়ির মো. মজিবুর রহমান আবু মিয়া ও মোছা. রোকেয়া বেগম দম্পত্তির ছেলে।

    সাংবাদিক মো. মিজানুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ‘গত ১২ অক্টোবর ভৈরব উপজেলার টুকচানপুর গ্রামের রহিম মিয়া (৩০), রহিম মিয়ার বাবা মোস্তফা মিয়া (৫৯), মা মনোয়ারা বেগম (৫১) ও একই উপজেলার কালিপুর (বাদশাবিল) গ্রামের সালাম মিয়ার স্ত্রী আফরোজা বেগম (৫০), ছেলে সরমিন মিয়া (২৫) ও আসিফ মিয়া (২১) দের বিরুদ্ধে ভৈরব পৌরশহরের কমলপুর পূর্ব পাড়া মহল্লার শ্যামল মিয়ার কন্যা ও রহিম মিয়া স্ত্রী ছাবরিনা বেগম রুমকি (২০) বাদী হয়ে গত ১২ অক্টোবর রবিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ১১(গ) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।

    মামলা রুজু হওয়ার পর র‍্যাব-১৪ (সিপিসি-৩) ভৈরব ক্যাম্পের একটি বিশেষ দল গত ২১ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকালে পৌর শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি রহিম মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পরদিন ২২ অক্টোবর বুধবার ভৈরব থানায় হস্তান্তর করলে থানা পুলিশ রহিম মিয়াকে কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

    সাংবাদিক মো. মিজানুর রহমান পাটোয়ারী ওই মামলার ১ নম্বর স্বাক্ষী ও বাদী সাবরিনা বেগম রুমকির আপন মামা হওয়ায় মামলার বিবাদী কালিপুর (বাদশাবিল) গ্রামের সালাম মিয়ার ছেলে সরমিন মিয়া (২৫), আসিফ মিয়া (২১) ও সালাম মিয়া স্ত্রী মোছা. আররোজা বেগম (৫০) সহ অন্যান্য বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রকাশ্যে তাকেসহ তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকী দেয়। এ ঘটনায় সাংবাদিক মো. মিজানুর রহমান পাটোয়ারী বাদী হয়ে গত ২৩ অক্টোবর ভৈরব থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

    জানা যায়, ২০২৪ সালের ১১ অক্টোবর ভৈরব উপজেলার টুকচানপুর গ্রামের মোস্তফা মিয়া ও মনোয়ারা বেগম দম্পত্তির ছেলে মো. রহিম মিয়া'র সঙ্গে বিয়ে হয় ছাবরিনা বেগম রুমকি'র । বিয়ের সময় রুমকি'র পরিবারের পক্ষ থেকে যৌতুক হিসেবে স্বামী রহিম মিয়াকে নগদ ২ লাখ টাকা, তিন ভরি স্বর্ণালংকার (মূল্য প্রায় ৫ লাখ টাকা) ও দেড় লাখ টাকার আসবাবপত্র দেওয়া হয়।

    বিয়ের পর থেকে স্বামী রহিম মিয়া, তার বাবা মোস্তফা মিয়া, মা মনোয়ারা বেগম, মামী আফরোজা বেগম, মামাতো ভাই সরমিন মিয়া ও আসিফ মিয়াসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা মিলে আরও ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুকের টাকা এনে দিতে পারবেনা জানালে রুমকির ওপর চালাতে থাকে নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন।

    এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে স্বামী রহিম মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা তাকে বাবার বাড়ি থেকে আরও ৫ লাখ টাকা এনে দিতে চাপ দেয়। তিনি টাকা এনে দিতে অস্বীকার করলে প্রথমে রহিম মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ শুরু করেন, পরে রহিম মিয়াসহ তার বাবা মোস্তফা মিয়া, মা মনোয়ারা বেগম, মামী আফরোজা বেগম, মামাতো ভাই সরমিন মিয়া (২৫) ও আসিফ মিয়া (২১) মিলে রুমকি'র গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা করে।

    এতেও তারা খ্যান্ত হয়নি, এরপর তারা লাঠি ও রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধরসহ তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে তাকে গুরুতর আহত করে। এতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম হয় এবং তলপেটে আঘাত পেয়ে মারাত্মক রক্তপাত হয়। আহত রুমকি'কে চিকিৎসা না করিয়ে তারা সবাই মিলে রুমকি শরীর থেকে স্বর্ণালংকার খুলে রেখে দিয়ে তাকে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

    ভুক্তভোগী রুমকি বলেন, “বিয়ের পর থেকেই নানা অজুহাতে আমাকে নির্যাতন করা হতো। যৌতুকের জন্য তারা আমাকে একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করেছে। অবশেষে আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি।"

    ইখা

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…