পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চর কাজল ইউনিয়নের ছোট চর কাজল গ্রামে সাপের কামড়ে আবুল বশার হাং (৪০) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে গরুর জন্য ঘাস আনতে গিয়ে তিনি বিষধর সাপের কামড়ে আক্রান্ত হন। নিহত আবুল বশার ওই এলাকার জয়নাল হাওলাদারের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে মাঠে ঘাস কাটার সময় সাপ কামড়ালেও বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব না দিয়ে তিনি কাজ চালিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় এক কবিরাজকে ডাকেন। কবিরাজ তিন দফা ঝাড়ফুঁক (ডোর) করার পর আবুল বশার অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তাকে দ্রুত গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মোঃ নাইমুর রহমান মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে, একইদিন উপজেলার রতনদীতালতলী ইউনিয়নের উলানিয়া গ্রামের বাবুল হাওলাদারের স্ত্রী লাইলী বেগম (৫২) এবং গলাচিপা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রুহুল আমিনের স্ত্রী হাজেরা বেগম (৫০) সাপে কামড়ের শিকার হন। এদের মধ্যে লাইলী বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। হাজেরা বেগম বর্তমানে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. নোমান পারভেজ বলেন, 'সাপে কামড়ের পর যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা জরুরি। বাংলাদেশে প্রায় ৯৫ শতাংশ সাপ বিষহীন হলেও অবশিষ্ট ৫ শতাংশ মারাত্মক বিষাক্ত। সময়মতো হাসপাতালে এলে এন্টিভেনম প্রয়োগের মাধ্যমে জীবন রক্ষা সম্ভব। কিন্তু দুঃখজনকভাবে অনেকেই কবিরাজের কাছে গিয়ে সময় নষ্ট করেন, যা প্রাণঘাতী হতে পারে।'
গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, 'আজ সাপের কামড়ে তিনজন রোগী হাসপাতালে আসেন। এদের মধ্যে বশার হাওলাদার হাসপাতালে আসার আগেই মারা যান। অপর দুই নারী চিকিৎসাধীন আছেন, এর মধ্যে লাইলী বেগমকে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।'
এনআই