পরমাণু বিজ্ঞানে আরও ৩টি বড় সাফল্য সামনে এনেছে ইরান। চিকিৎসা ও গবেষণা খাতে ব্যবহারযোগ্য এসব উদ্ভাবনের পাশাপাশি দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেছে জাতীয় পারমাণবিক নেটওয়ার্ক। খবর মেহের নিউজ এজেন্সি’র
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে তেহরান আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব অর্জনের কথা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে পারমাণবিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা ইনস্টিটিউট তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবন উপস্থাপন করে। এর মধ্যে রয়েছে গ্যালিয়াম-৬৮ নামের একটি ডায়াগনস্টিক রেডিওফার্মাসিউটিক্যাল। এটি মূলত মেটাস্ট্যাটিক মেলানোমা শনাক্তে ব্যবহৃত হবে। লুটেটিয়াম-১৭৭, একটি থেরাপিউটিক রেডিওফার্মাসিউটিক্যাল। এটি ক্যানসার চিকিৎসায় কার্যকর। এবং হাড়ের ব্যথা চিকিৎসার জন্য একটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় (অটোমেটেড) চিকিৎসা যন্ত্র।
ওই অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয় ইরানের জাতীয় পারমাণবিক নেটওয়ার্ক। ইরান সরকার জানায়, এই নেটওয়ার্কের লক্ষ্য দেশটির পারমাণবিক গবেষণার সক্ষমতা বাড়ানো এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ এসলামী বলেছেন, উদ্ভাবন ও গবেষণার ধারণাকে দ্রুত বাস্তব পণ্যে রূপান্তর করাই এখন সংস্থার একমাত্র অগ্রাধিকার। তিনি বলেন, ২০২৩ সালে একই প্রদর্শনীতে ইরান ৫০টি রেডিওফার্মাসিউটিক্যাল উৎপাদনের ঘোষণা দিয়েছিল। বর্তমানে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০টিতে এবং আরও ২০টি রেডিওফার্মাসিউটিক্যাল গবেষণাধীন পর্যায়ে রয়েছে।
বিশ্লেষকরা জানান, এসব অগ্রগতি ইরানের চিকিৎসা বিজ্ঞান ও পারমাণবিক গবেষণায় দেশটির সক্ষমতা আরও সুসংহত করবে।
এমআর-২