তরুণীকে

তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, ছাত্রদলের দুই নেতাসহ গ্রেফতার ৪
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালীতে এক তরুণী পালাক্রমে শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (১৬ মার্চ) ইফতারের আগে ফুল কিনতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সাথে জড়িত ছাত্রদলের দুই নেতাসহ ৪ জনকে আটক গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন গদখালি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পটুয়াপাড়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে আল মামুন হোসেন বাপ্পি, দপ্তর সম্পাদক পটুয়াপাড়া গ্রামের ইয়াসিন আরাফাত, বেলেমাঠ গ্রামের জাবেদ হোসেন ও পটুয়াপাড়া গ্রামের আমিনুর রহমান।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মণিরামপুরের হরিহরনগর গ্রামের ওই তরুণী ফুলের রাজ্য গদখালীতে বেড়াতে আসেন। ইফতারের আগে তিনি সেখানকার ফুলমোড়ে জাবেদ হোসেনের দোকানে ফুল কিনতে যান। এসময় জাবেদ তাকে ফুল বাগানে নেওয়ার কথা বলে পাশের লিচু বাগানে নিয়ে যায়। এসময় অন্যান্য আসামিদের ডেকে নিয়ে তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ওই তরুণীকে হেফাজতে নেয়। পরে অভিযান চালিয়ে ছাত্রদলের দুই নেতাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর ই আলম সিদ্দিকী ও নাভারণ সার্কেলের এএসপি নিশাত আল নাহিয়ান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবলুর রহমান খান জানান, গ্রেফতারকৃত ৪ জন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ঝিকরগাছা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আশরাফুল আলম রানা জানান, ঘটনার সাথে জড়িত ছাত্রদলের দুই নেতাকে রাতে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ না করার জন্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্দেশ প্রদান করেছেন।
এনআই

বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তরুণীকে হত্যার পর যুবকের আত্মহত্যা
বিয়েতে রাজি না হওয়ায় এক তরুণীকে হত্যা করেছেন এক যুবক। পরে ওই যুবক নিজেও আত্মহত্যা করেছেন। জানা যায়, নিহত তরুণীকে ওই যুবক পছন্দ করতেন এবং গত এক বছর ধরে তাকে রাজি করানোর চেষ্টা করছিলেন বলে জানা গেছে।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্নাটকের বেলাগাভিতে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, কর্ণাটকের বেলাগাভিতে বিয়ে করতে অস্বীকার করার পরে এক তরুণীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে এক যুবক। শুধু তাই নয়, এরপর ঘটনাস্থলেই আত্মহত্যা করেন অভিযুক্ত। নিহত ওই তরুণীর নাম ঐশ্বরিয়া মহেশ লোহার। ২০ বছর বয়সী এই তরুণী নাথ পাই সার্কেলের কাছে একটি বাড়িতে থাকতেন এবং সেখানেই খুন হন।
অন্যদিকে অভিযুক্ত যুবকের নাম প্রশান্ত কুন্দেকার। বেলাগাভি তালুকের ইয়েলুর গ্রামের ২৯ বছর বয়সী এই যুবক ঐশ্বরিয়াকে ভালোবাসতেন এবং এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তাকে অনুসরণ করছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
প্রশান্ত কুন্দেকার চিত্রশিল্পী হিসেবে কাজ করতেন এবং হত্যাকাণ্ড ঘটানোর আগে তিনি তার মায়ের কাছে গিয়েছিলেন এবং ওই তরুণীকে বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তবে তার মা তাকে প্রথমে আর্থিকভাবে স্থিতিশীল হওয়ার দিকে মনোনিবেশ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন বলে বেশ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে।
মঙ্গলবার প্রশান্ত বিষের বোতল নিয়ে ঐশ্বরিয়ার খালার বাড়িতে যায়। সেসময় তাকে বিয়ে করার জন্য তিনি আবারও ঐশ্বরিয়াকে জোর করেন। কিন্তু বিয়ে করতে অস্বীকার করলে প্রশান্ত তাকে বিষ পান করতে বাধ্য করার চেষ্টা করে। এতে ওই তরুণী বাধা দিলে প্রশান্ত তার পকেট থেকে ছুরি বের করে তাকে গলা কেটে হত্যা করে।
মূলত অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঐশ্বরিয়া মারা যান। এরপর প্রশান্ত একই ছুরি ব্যবহার করে নিজের গলা কেটে ফেলে এবং ঘটনাস্থলেই মারা যায়। সিটি পুলিশ কমিশনার ইয়াদা মার্টিনসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা এই ঘটনায় আরও তদন্ত করছেন বলে জানানো হয়েছে।
এবি

এক্সপ্রেসওয়েতে তরুণীকে গুলি করে হত্যা, প্রেমিক তৌহিদ গ্রেপ্তার
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে শাহিদা আক্তার (২২) নামের তরুণীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় রিভলবারসহ প্রেমিক তৌহিদ শেখ তন্ময়কে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। তন্ময় ঢাকার ওয়ারির ২২ নং বর্ণগ্রাম রোডের মৃত শফিক শাহ ও ময়না বেগমের ছেলে।
এর আগে গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে মহাসড়কের সমসপুর এলাকার দোগাছি সার্ভিস সড়ক থেকে ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের সময় লাশের পাশে কয়েকটি গুলির খোসা পড়ে ছিল। নিহতের শরীরে আটটি গুলির ছিদ্র রয়েছে।
এ বিষয়ে খুন হওয়া তরুণী শাহিদা আক্তারের মা জরিনা বেগম বলেন, ‘ঢাকার ওয়ারী এলাকার তৌহিদ নামের এক ছেলের সঙ্গে তাঁর মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তৌহিদ ছেলে হিসেবে ভালো ছিল না। এ জন্য শহিদাকে তৌহিদের সঙ্গে চলাফেরা করতে নিষেধ করেছিলাম। এ ছাড়া প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে আমার মেয়েকে ওই ছেলে রাস্তার মধ্যে মারধর করেছে। এরপরও তৌহিদ আমার মেয়ের সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করছিল।’
জরিনা বেগম জানান, গত শুক্রবার রাত আটটার পর তাঁর মেয়ে ঢাকার বাড়ি থেকে বের হন। এর পর থেকে মুঠোফোন বন্ধ ছিল।
এদিকে রোববার (১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে ভোলার ইলশা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগগঞ্জের একটি পুকুরে তল্লাশি চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রিভলভার উদ্ধার করা হয়।
সদরঘাট থেকে লঞ্চে করে ভোলা মনপুরা দ্বীপে পালিয়ে যাচ্ছিল তন্ময়। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা গোয়েন্দা শাখা তথা ডিবির ওসি মো. ইশতিয়াক রাসেল। তিনি জানান, গ্রেপ্তার তৌহিদকে নিয়ে তরুণীর লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা করছে ডিবি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তরুণীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে তৌহিদ। তার বাসা রাজধানীর ওয়ারী এলাকায়।
গত শনিবার সকালে জেলার শ্রীনগর উপজেলার দোগাছি এলাকার এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেন থেকে শাহিদার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন দিবাগত মধ্যরাতে নিহতের মা জরিনা খাতুন বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত তরুণী শাহিদা ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার বেগুনবাড়ি বরিবয়ান গ্রামের প্রয়াত আব্দুল মোতালেবের মেয়ে। পরিবারের সঙ্গে থাকতেন রাজধানীর ওয়ারী এলাকায়। তারা ৩ বোন ও দুই ভাই।
এবি

ফেসবুকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়ে তরুণীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মো. সুমন নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই তরুণীর পিতা বাদী হয়ে হোসেনপুর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ মো. সুমন মিয়া ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত মো. সুমন সদর উপজেলার কুট্টাগর গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে ও তার সহযোগী মো. শামীম একই উপজেলার টুটিয়ারচর গ্রামের মো. মজিবুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২ মাস পূর্বে ফেসবুকে মো. সুমনের সঙ্গে হোসেনপুর উপজেলার দক্ষিণ পানান গ্রামের বাসিন্দা ও হোসেনপুর আদর্শ মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই তরুণীর পরিচয় হয়। বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ওই তরুণীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন তিনি। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুণীকে গাজীপুরে নেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তরুণী রাজী না হলেও ৭ জুলাই সুমন তার সহযোগী মো. শামীমের সহযোগিতায় ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ওই তরুণীকে অপহরণ করে গাজীপুর নিয়ে যান। সেখানে তিনি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে ১০ জুলাই বিকেলে সুমন গাজীপুর থেকে সিএনজিযোগে ওই তরুণীকে উপজেলার দ্বীপেশ্বর গোলচত্বর এলাকায় নামিয়ে কৌশলে পালিয়ে যেতে চাইলে ওই তরুণীর ডাক-চিৎকারে স্থানীয় জনতা তরুণীকে উদ্ধার করে সুমন ও শামীমকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন।
হোসেনপুর থানার ওসি নাহিদ হাসান সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পর ওই তরুণীর বাবা থানায় এসে মামলা করেন। গ্রেপ্তার মো. সুমন ও মোঃ শামীমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এসএফ
আপনার অনুসন্ধানকৃত ডাটা খোঁজে পাওয়া যায়নি
