নিজের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করতে শ্রম আদালতে গেছেন শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান এবং নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের।
সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুর ১২ টা ২০ মিনিটে তিনি আদালতে যান।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়।
ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করবেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
গত ৯ নভেম্বর শ্রম আদালতে হাজির হন ড. ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম এবং মো. শাহজাহান।
এ সময় ৩৪২ ধারায় ড. ইউনূসসহ ৪ আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনের জবানবন্দীতে বলা হয়, শ্রম আইনের ২৩৪ ধারার বিধান লঙ্ঘিত হলে ২৩৬ ধারায় সরকার অনেকগুলো প্রতিকারের বিধান রেখেছে। শ্রম আইনের ২৩৬ ধারার উপরোক্ত বিষয়গুলো উল্লেখ না করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর বিবাদী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে পারে না। এটি সম্পূর্ণ আইনের লঙ্ঘন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এটি কোন ভাবেই ফৌজদারি অপরাধ না।
দেশের উন্নয়নে ড. ইউনূসের ভূমিকা উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশে একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেখান যিনি দেশের জন্য এত কাজ করেছেন। এতগুলো বিদেশি ব্র্যান্ড কোম্পানিকে যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশে এনেছেন। এত এত মানব সম্পদ তৈরি করেছেন। আর সবচেয়ে বড় কথা কোন কিছুই তিনি নিজের কোন আর্থিক লাভের জন্য করেননি। এ ধরনের অসংখ্য অবদান রাখার পরও এই নিঃস্বার্থ মানুষটিকে মিথ্যা অপরাধে দাঁড়াতে হচ্ছে বিচারের কাঠগড়ায়।
২০১১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনুসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। এতে ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে বিবাদী করা হয়।