দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে তরুণীকে গণধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি মুবিনকে (২৩) গ্রেফতার করেছে টাঙ্গাইলের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যরা। পরে তাকে চিরিরবন্দর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে মুবিনকে আদালতে পাঠিয়েছে । গ্রেফতারকৃত মুবিন চিরিরবন্দর রেলওয়ে কলোনির আনছার আলীর ছেলে।
এর আগে গত ১৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে চিরিরবন্দর উপজেলার তেলীপুকুর নামক এলাকায় এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নাম্বারের মাধ্যমে খবর পেয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ।
পরের দিন ওই তরুণীর বড় বোন বাদী হয়ে মুবিন, সাব্বির হোসেন, রাব্বি ও আল-আমিনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে অভিযান চালিয়ে মামলার অন্য আসামি চিরিরবন্দর উপজেলার রেলওয়েকলোনীর মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে রুবেল ইসলামকে (৩০) চিরিরবন্দর থেকে ও একই উপজেলার মাঝাপাড়ার আব্দুল গনির ছেলে আল আমিনকে (২৬) বাগেরহাট উপজেলার কচুয়া থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর সাথে গত ৩-৪ মাস পূর্বে মোবাইল ফোনে পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলার মাগুরা সরকারপাড়া এলাকার ওছমান আলীর ছেলে মোছাদ্দেকুল ইসলাম মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দিনগত রাতে প্রেমিককে নিয়ে ওই মেয়ে বাড়িতে গিয়ে বিয়ে করবে বলে তার মাকে জানালে গালিগালাজ করে। পরে প্রেমিকের হাত ধরে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় ওই তরুণী। রাস্তায় আসামীরা তাদেরকে বিয়ে দিবে এই প্রলোভন দেখিয়ে এবং এক পর্যায়ে ভয় দেখিয়ে একটি অটোতে তুলে নেয়।
এ সময় মেয়েটির প্রেমিক জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিয়ে পুলিশের সহায়তা চায়। এ সময় আসামীরা তার মোবাইল কেড়ে নিয়ে তাদেরকে উপজেলার সরকারপাড়া এলাকার আব্দুল আলিমের ছেলে নুর আলমের নির্মাণাধীন একটি ভবনের ভিতরে নিয়ে যায়। সেখানে ছেলেটিকে বেধে মেয়েটির কাছ থেকে পৃথক করে রাখা হয়। এক পর্যায়ে ওই ছেলে কৌশলে সেখান থেকে বের হয়ে চিরিরবন্দর থানায় চলে যায়।
এই সময়ের মধ্যে আসামীরা ওই মেয়েটিকে একটি ধানক্ষেতের মধ্যে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে চিরিরবন্দর থানা পুলিশ মেয়েটিকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
এমআর