নাটোর কারাগারে ২৯ নভেম্বর অসুস্থ হয়ে পড়েন বিএনপি নেতা এ কে আজাদ সোহেল (৪৪)। এরপর কারা কর্তৃপক্ষ তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠায়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মারা যান সোহেল। তিনি নাটোরের সিংড়া উপজেলার হাতিয়ন্দহ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতিও ছিলেন।
সোহেলের বড় ভাই শামীম হোসেন বলেছেন, মিথ্যা মামলায় ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় আমার ভাইকে আটক করে ডিবি। বিনা অপরাধে তাঁকে নাটোর কারাগারে পাঠানো হয়। সেখানে অসুস্থ হলেও আমাদের জানানো হয়নি। রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সে মারা গেছে।
সিংড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান লেলিন বলেন, ৩০ নভেম্বর আদালত সোহেলকে জামিন দেন। পরিবারের সদস্যরা ওইদিনই তাঁকে আনতে কারাগারে যান। তখন কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, অসুস্থ থাকায় ২৯ নভেম্বর সোহেলকে চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, সোহেলকে হাসপাতালের বারান্দায় বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়। কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জানতে পেরে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে গিয়ে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ দাবি করেন, ‘গ্রেপ্তারের পর কারাগারে নির্যাতনের কারণে সোহেল স্ট্রোক করেন। কিন্তু সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় এক রাজনৈতিক সহকর্মীকে হারালাম আমরা।
নাটোর কারাগারের জেলার মোশফিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, নাশকতা মামলার আসামি সোহেলকে ২১ নভেম্বর জেলহাজতে আনা হয়। ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় অসুস্থ হলে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতাল, পরে তাঁকে রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তিনি রাজশাহী কারাগারের আওতায় চিকিৎসাধীন ছিলেন।
অসুস্থতার কথা পরিবারকে কেন জানানো হয়নি- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কারাগারে হরহামেশা অনেকেই এমন অসুস্থ হন। রাজশাহীর দূরত্ব অল্প হওয়ায় রোগীকে সেখানে পাঠানো হয়। পরিবারকে খবর দেওয়া জরুরি মনে হয়নি।
এফএস