টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পুকুরে একটি পরিত্যক্ত পুরোনো গ্রেনেড পাওয়া গেছে। গ্রেনেডটি বল ভেবে খেলছিল ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জিহাদসহ কয়েকজন শিশু।
সোমবার (২৪ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মির্জাপুর পৌরসভার পাহাড়পুর গ্রামের দেলোয়ার মিয়ার বাড়ি থেকে পুলিশ পুরোনো গ্রেনেডটি উদ্ধার করে।
পুকুরে গ্রেনেড পাওয়া জিহাদ জানায়, সোমবার সকাল ১০টার সময় বাড়ির পশ্চিম পাশে পুকুরে হাঁস ধরতে গিয়ে পায়ে লোহা সাদৃশ্য দেখতে পায়। বস্তুটি উঠিয়ে ধুয়ে মুছে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। বল ভেবে দিনভর খেলাধুলা করে জিহাদসহ কয়েকজন শিশু। কিন্তু ওটা যে গ্রেনেড তা জানেনা। রাতের বেলা বাড়ির অন্য সদস্যরা বস্তুটি দেখে বুঝতে পারে এটি বল নয় এটি পুরোনা গ্রেনেড। পরে ৯৯৯ ফোন করে অবগত করেন। এরপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে মির্জাপুর থানা পুলিশের সদস্যরা গ্রেনেডটি উদ্ধার করে।
জিহাদের দাদী বলেন, সম্ভবত যুদ্ধের সময় গ্রেনেডটি ডোবার মাটিতে ছিলো। বৃষ্টির পানিতে মাটি সরে গিয়ে গ্রেনেডটি মাটির উপরে উঠে গিয়েছে। আমরা খুব ভয় পাইছিলাম।
এব্যাপারে মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করিম জানান, ৯৯৯ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে একটি পুরোনো গ্রেনেড উদ্ধার করি। ধারণা করা হচ্ছে গ্রেনেডটি ১৯৭১ সালের। গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় অবস্থায় আছে। থানায় জিডি করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এআই