এইমাত্র
  • ডুমুরিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
  • কোটা প্রথা সম্পূর্ণ সংবিধানবিরোধী: জি এম কাদের
  • মিরপুরে কমার্স কলেজের শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা
  • মতিউরের সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁস, নিজের সম্পদ নিয়ে মুখ খুললেন আরজিনা
  • রান্না করা ও শুকনো খাবার চান বানভাসি মানুষেরা
  • খাম লেনদেন করা সেই ওসি প্রত্যাহার
  • হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ১ দিনে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার
  • কিশোরগঞ্জের নদীতে ডুবে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
  • কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাবিতে আজও বিক্ষোভ
  • গাজার শিশুদের জন্য ২০ লাখ মার্কিন ডলার দিলেন নিকোলা কফলান
  • আজ রবিবার, ২২ আষাঢ়, ১৪৩১ | ৭ জুলাই, ২০২৪
    তথ্য-প্রযুক্তি

    মহাকাশ স্টেশনে থাকা দুই নভোচারীর পৃথিবীতে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা

    তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক প্রকাশ: ৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫৯ এএম
    তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক প্রকাশ: ৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫৯ এএম

    মহাকাশ স্টেশনে থাকা দুই নভোচারীর পৃথিবীতে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা

    তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক প্রকাশ: ৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫৯ এএম

    প্রথমবার নভোচারীদের নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে নাসার মহাকাশযান ‘স্টারলাইনার’। মহাকাশযানের নামের সাথে মিল রেখে অভিযানের নাম দেয়া হয় ‘মিশন স্টারলাইনার’। কিন্তু কথা ছিল মিশন শুরুর ৮ দিন পরই তারা পৃথিবীতে ফিরবে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে পৃথিবীতে ফিরতে পারেননি তারা। এই দুই নভোচারী হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস ও তার সহযাত্রী বুচ উইলমোর। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলছে, এখনই ঘরে ফেরা হচ্ছে না তাদের।

    নির্ধারিত মহাকাশযানে জটিলতাকে কেন্দ্র করে প্রত্যাশিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন নাসার দুই নভোচারী। মহাকাশযানটি দুই নভোচারী নিয়ে কবে পৃথিবীর মাটিতে ফিরে আসবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সুনির্দিষ্ট করে কোনো তারিখও উল্লেখ করছে না। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা কর্তৃপক্ষ গত শুক্রবার বলেছে, এ অভিযানের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৯০ দিন করার কথা ভাবা হচ্ছে। তার মানে নভোচারী সুনি উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোরকে আরও কিছুদিন মহাকাশ স্টেশনে থাকতে হবে।

    গত ৫ জুন মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের তৈরি স্টারলাইনার মহাকাশযানটি দুই নভোচারীকে নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে যাত্রা করে। কিছুদিন পরই এ যানটির পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু যানটিতে হিলিয়াম গ্যাস লিকেজ এবং থ্রাস্টার বিভ্রাট হওয়ায় এটি পৃথিবীতে ফিরতে পারছে না। এতে তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোরকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে অবস্থান করতে হচ্ছে।

    কর্মকর্তারা বারবারই ইঙ্গিত দিয়েছেন, স্টারলাইনারে করেই নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোরকে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে।

    নাসার কমার্শিয়াল ক্রুর প্রোগ্রাম ম্যানেজার স্টিভ স্টিচ শুক্রবার বলেছেন, স্টারলাইনারের মিশন ৪৫ দিন থেকে বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত করার কথা ভাবছে মহাকাশ সংস্থা। তবে মহাকাশযানটির পৃথিবীতে ফিরে আসার নির্দিষ্ট কোনো তারিখ বলা হয়নি।

    স্টারলাইনারের কিছু থ্রাস্টার কেন অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে অকার্যকর হয়েছে, তা এখন স্থলভাগে পরীক্ষা করে দেখার পরিকল্পনা করছে বোয়িং এবং নাসা কর্তৃপক্ষ। নিউ মেক্সিকোতে এ পরীক্ষা চালানো হবে।

    শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্টিচ বলেছেন, নিউ মেক্সিকোতে পরীক্ষা চালানোর পর পাওয়া তথ্যগুলো পর্যালোচনা করা হবে। এরপরই মহাকাশযানটি কবে পৃথিবীতে অবতরণ করবে, তার তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

    বোয়িংয়ের কমার্শিয়াল ক্রু প্রোগ্রামের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রোগ্রাম ম্যানেজার মার্ক নাপ্পি এবং নাসার কমার্শিয়াল ক্রুর প্রোগ্রাম ম্যানেজার স্টিভ স্টিচ শুক্রবার বলেছেন, স্টারলাইনারের মূল সমস্যা কী, তা প্রকৌশলীরা এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি।

    নাসার নভোচারী বুচ উইলমোর ও সুনিতা উইলিয়াম স্টারলাইনারের প্রথম যাত্রী হিসেবে মহাকাশে ভ্রমণ করছেন। তাঁরা এখন আন্তর্জাতিক মহাকাশকেন্দ্রে অবস্থানকারী অন্য নভোচারীদের সঙ্গে সমন্বয় করছেন এবং নিয়মিত কাজকর্মগুলো করছেন। স্টারলাইনার পৃথিবী থেকে যাত্রা শুরু করার আগেই জানা গিয়েছিল এর থেকে হিলিয়াম গ্যাস নির্গত হচ্ছে। তবে এরপরও এ অভিযানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা এটিকে খুব একটা ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচনা করেননি।

    কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চাইলে শুক্রবার মার্ক নাপ্পি বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে মহাকাশযানটি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি অনুতপ্ত নন। তিনি আরও বলেন, নাসা ও বোয়িং সব সময়ই এ অভিযান যে পরীক্ষামূলক, তার ওপর জোর দিয়ে আসছে। ভবিষ্যতে অভিযান চালানোর জন্য স্টারলাইনারকে উন্নত করে গড়ে তুলতে তথ্য সংগ্রহ করাই এ পরীক্ষামূলক অভিযানের লক্ষ্য।

    নাসা তাদের এ অভিযানের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত বাড়াবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। স্টিচ বলেছেন, স্টারলাইনারের ব্যাটারির মেয়াদ থাকবে কি না, সে ব্যাপারে কর্মকর্তাদের নিশ্চিত হতে হবে। তবে স্টিচ বলেছেন, মহাকাশ স্টেশনে ব্যাটারিগুলো রিচার্জ করা হচ্ছে। ৯০ দিন পার হয়ে গেলেও এগুলো প্রথম ৪৫ দিনের মতোই কার্যক্ষম থাকার কথা।

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ওই দুই নভোচারী আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে আটকা পড়েছেন।নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই দুই মহাকাশচারীর ক্ষেত্রে ‘আটকে পড়া’ কথাটি ব্যবহার না করার জন্য শুক্রবার সাংবাদিকদের অনুরোধ জানিয়েছেন বোয়িংয়ের কর্মকর্তা নাপ্পি। দুই মহাকাশচারীর অবস্থা বিপজ্জনক নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।

    নাসার কর্মকর্তা স্টিভ স্টিচও একই ধরনের কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, বুচ এবং সুনি মহাকাশে আটকে নেই। তাঁদের স্টারলাইনারে ফিরিয়ে আনা এবং সঠিক সময়ে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের পরিকল্পনা চলছে।’

    এদিকে নাসার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী ১০ জুলাই স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় এ বিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করছে তারা। সেখানে নভোচারী বুচ এবং সুনিতাও যুক্ত হবেন। পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে স্থাপিত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে যোগ দেবেন তাঁরা।অপ্রত্যাশিতভাবে মহাকাশে নভোচারীদের অবস্থানের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি নতুন কিছু নয়। কয়েক দিন, কয়েক সপ্তাহ এমনকি কয়েক মাসও মহাকাশ স্টেশনে থাকার নজির আছে।

    উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে অভিযানে গিয়ে নাসার নভোচারী ফ্রাঙ্ক রুবিওকে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল। তিনি রাশিয়ার সয়ুজ ক্যাপসুলে করে সেখানে গিয়েছিলেন। এটিতে কুল্যান্ট লিক হয়েছিল। প্রায় ছয় মাস আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কাটানোর কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তাঁকে ৩৭১ দিন সেখানে থাকতে হয়েছে। অর্থাৎ এক বছরের বেশি সময় তিনি আন্তর্জাতিক মহাকাশকেন্দ্রে কাটিয়েছেন।

    এ ছাড়া বৈরী আবহাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে পৃথিবীতে ফেরার ক্ষেত্রে নভোচারীদের নিয়মিতই কিছুদিন করে দেরি করতে দেখা যায়।

    এবি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…