কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে লিবিয়ায় মানব পাচারকারী চক্রের ভৈরবের মূল সদস্য মিলনকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (০৩ জুলাই) রাতে তাকে পৌর শহরের কালীপুর ১১নং ওয়ার্ড এলাকার থেকে আটক করা হয়। আটক মিলন অত্র এলাকার আয়দর আলী মিয়ার বাড়ির মৃত হোসেন মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, অবৈধ পথে ইউরোপের দেশ ইতালিতে নেয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এমন অভিযোগ করে মানবপাচার আইনে কিশোরগঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন ভৈরব উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শম্ভুপুর ফাঁড়ি রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা সজল মিয়ার স্ত্রী জান্নাত বেগম। জান্নাত বেগমের স্বামী সজল মিয়া দুই বছর আগে লিবিয়া যান। এরমধ্যে মানবপাচার চক্রের সদস্যরা বড় ধরনের টাকা লেনদেন করলেও তার স্বামীর সন্ধান পাচ্ছেন না ভুক্তভোগী জান্নাত বেগম।
জান্নাত বেগম জানান, ২ বছর আগে মিলন মিয়ার মাধ্যমে স্বামী সজল মিয়াকে ১০ লাখ টাকা নগদ দিয়ে দুবাই হয়ে লিবিয়া পাঠাই। লিবিয়া যাওয়ার পর ইতালি নেয়ার কথা বলে মিলন মিয়া তার স্ত্রী, মা ও খুরশিদ মিয়ার যোগসাজেসে প্রথমে ৮ লাখ টাকা নেন। টাকা দেওয়ার কয়েকদিন যেতে না যেতেই মিলন জানান, লিবিয়ায় মাফিয়ার হাতে সজল আটক হয়েছে। মাফিয়া থেকে ছাড়িয়ে আনতে তৃতীয় দফায় ১০ লাখ টাকা নেন। টাকা দেওয়ার পর থেকে স্ত্রীর সঙ্গে সজলের আর যোগাযোগ নেই। নিরুপায় হয়ে কিশোরগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী জান্নাত বেগম।
পরে ভৈরব থানার এসআই মুকিদুল হাসান আদালতের নির্দেশে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মিলন মিয়াকে আটক করে। এ ঘটনায় লিবিয়ায় মানবপাচার চক্রের সদস্য খুরশিদ মিয়া, আটক আসামি মিলন মিয়ার মা ও বউকে আসামি করা হয়েছে।
ভৈরব থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃত অভিযুক্ত আসামি মিলন মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) সকালে কিশোরগঞ্জ জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মানবপাচার মামলায় বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।
এআই