এইমাত্র
  • ডুমুরিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
  • কোটা প্রথা সম্পূর্ণ সংবিধানবিরোধী: জি এম কাদের
  • মিরপুরে কমার্স কলেজের শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা
  • মতিউরের সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁস, নিজের সম্পদ নিয়ে মুখ খুললেন আরজিনা
  • রান্না করা ও শুকনো খাবার চান বানভাসি মানুষেরা
  • খাম লেনদেন করা সেই ওসি প্রত্যাহার
  • হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ১ দিনে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার
  • কিশোরগঞ্জের নদীতে ডুবে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
  • কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাবিতে আজও বিক্ষোভ
  • গাজার শিশুদের জন্য ২০ লাখ মার্কিন ডলার দিলেন নিকোলা কফলান
  • আজ রবিবার, ২২ আষাঢ়, ১৪৩১ | ৭ জুলাই, ২০২৪
    শিক্ষাঙ্গন

    কোটা প্রথা নিয়ে উত্তাল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

    যায়িদ বিন ফিরোজ, ইবি প্রতিনিধি প্রকাশ: ৪ জুলাই ২০২৪, ০১:২৯ পিএম
    যায়িদ বিন ফিরোজ, ইবি প্রতিনিধি প্রকাশ: ৪ জুলাই ২০২৪, ০১:২৯ পিএম

    কোটা প্রথা নিয়ে উত্তাল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

    যায়িদ বিন ফিরোজ, ইবি প্রতিনিধি প্রকাশ: ৪ জুলাই ২০২৪, ০১:২৯ পিএম

    দেশে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারী চাকুরীতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের প্রতি যে ৩০ ভাগ কোটা বহাল রয়েছে এর সংস্কারের দাবিতে সারা দেশের শিক্ষার্থীদের ন্যায় ফুঁসে ওঠেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।

    বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরুদ্ধ করে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেন প্রায় কয়েকশো শিক্ষার্থী। প্রায় ৪০ মিনিটের মতো মহাসড়কের দুপাশে যান চলাচল বন্ধ থাকায় খানিকটা যানজটের দেখা যায়।

    এর-আগে আন্দোলন শুরুতে পূর্বনির্ধারিত স্থান ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে বেলা ১১টা বাজার সাথে সাথেই শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকে। সেখানে প্রায় আধঘন্টার আন্দোলনে কোটা বৈষম্যের বিরুদ্ধে নানা ধরনের স্লোগানে মুখরিত হয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গন। এসময় মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যেন কোনরূপ কটুক্তিমূলক বক্তব্য যাতে না আসে এই আন্দোলন থেকে সে বিষয়ে হুশিয়ার দেন ‘মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও প্রজন্ম’ এর সভাপতি মেজবাহুল ইসলাম ও ইবি শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি মাসুদ রানা।

    আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার। জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে। লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে। আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম। মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন’।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাসুম বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধাদের অবদান আমরা কখনো অস্বীকার করছি না। তবে কোটার ব্যবহারের ফলে একটা গোষ্ঠী শিক্ষা চাকরি এবং সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে।

    তিনি আরও বলেন, এর ফলে আমরা যে সাধারণ শিক্ষার্থী আছি তারা পিছিয়ে যাচ্ছি। এটা এক প্রকার বৈষম্য। যা আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। আমাদের কোটার একটি সুষ্ঠু বণ্টন থাকা উচিত। আমাদের দাবি হলো ২০১৮ সালের পরিপত্র যেনো পুনর্বহাল রাখা হয়।

    কোটা বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং ছাত্র ইউনিয়ন ইবি শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুইট বলেন, আমরা লড়াই করছি বৈষম্যের বিরুদ্ধে। এই সংগ্রাম একদিনের নয়। এই সংগ্রাম ১৯৫২ সাল থেকেই আমরা এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে চলমান রয়েছে। আমার মনে হয় না মুক্তিযোদ্ধারা এই কোটা বৈষম্য টিকিয়ে রাখার জন্য সংগ্রাম করেছেন। তাঁরা দেশে সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্যই মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। আমরা কোটা বাতিলের পক্ষে না আমরা কোটা সংস্কারের পক্ষে। মেধার বন্টন যেনো সুষ্ঠ হয় সেজন্য আমাদের এই লড়াই সংগ্রাম।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…