এইমাত্র
  • ডুমুরিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
  • কোটা প্রথা সম্পূর্ণ সংবিধানবিরোধী: জি এম কাদের
  • মিরপুরে কমার্স কলেজের শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা
  • মতিউরের সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁস, নিজের সম্পদ নিয়ে মুখ খুললেন আরজিনা
  • রান্না করা ও শুকনো খাবার চান বানভাসি মানুষেরা
  • খাম লেনদেন করা সেই ওসি প্রত্যাহার
  • হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ১ দিনে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার
  • কিশোরগঞ্জের নদীতে ডুবে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
  • কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাবিতে আজও বিক্ষোভ
  • গাজার শিশুদের জন্য ২০ লাখ মার্কিন ডলার দিলেন নিকোলা কফলান
  • আজ রবিবার, ২৩ আষাঢ়, ১৪৩১ | ৭ জুলাই, ২০২৪
    জাতীয়

    ‘ব্যাপারী আসছে, মাল কেনা শেষ’

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ৪ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৬ পিএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ৪ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৬ পিএম

    ‘ব্যাপারী আসছে, মাল কেনা শেষ’

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ৪ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৬ পিএম

    সম্প্রতি ঢাকাসহ দেশের মহাসড়কে যানবাহনে ডাকাতির ঘটনায় সক্রিয় দুইটি চক্রের সন্ধান পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

    এরমধ্যে একটি রাজধানীর মতিঝিলের ব্যাংকপাড়ায় ও আরেকটি চক্র মহাসড়কে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি করে আসছে। তাদের দলের সদস্য সংখ্যা ১৬ জনের মতো। দুটি চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি।


    তাদের জিজ্ঞাসাবাদে কিছু অভিনব ও চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে। গ্রেপ্তার এড়াতে চক্রের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের সময় মোবাইল ফোনের ফ্লাইট মুড অপশন চালু করে পকেট রাউটার এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো অ্যাপস ব্যবহার করে কথা বলে।

    শুধু তাই নয়, নিজেদের মধ্যে কথোপকথনে ব্যবহার করে সাংকেতিক শব্দ। পুলিশ দেখলেই বলে, ‘ব্যাপারী আসছে, মাল কেনা শেষ।’ যার অর্থ ‘সামনে পুলিশ আছে, যে যার মতো সরে পড়ো’। দলের কোনো সদস্য পুলিশের হাতে আটক হলে বলে ‘কাকা কই নামব, টাকা লাগবে।’ এর অর্থ ‘আমি আটক হয়েছি, আমাকে টোপ বানানো হয়েছে’।

    জানা যায়, ডাকাত দলের সদস্যরা মতিঝিলের বিভিন্ন ব্যাংকে ছদ্মবেশে অবস্থান করে। তারা বড় অঙ্কের টাকা লেনদেন করা ব্যক্তিকে শনাক্ত করে বাইরে থাকা সদস্যদের কাছে তথ্য পাঠায়। পরে পুলিশ পরিচয়ে টার্গেট করা ব্যক্তির গতিরোধ করে টাকাসহ মূলবান জিনিসপত্র লুটে নেয়।

    তদন্ত সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, এই ডাকাত চক্র দুটি মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও নরসিংদীসহ ঢাকা-টাঙ্গাইল এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নিয়মিত ডাকাতি করে আসছে। এই কাজে তারা পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যদের ব্যবহৃত ওয়াকিটকি, লেজার লাইট ও অস্ত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে টার্গেট করা ব্যক্তিদের ভড়কে দেয়। তারা এসব মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গাড়ির চাকা খুলে দাঁড়িয়ে থাকে। যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সন্দেহ না করে। পরে কোনো ট্রাককে টার্গেট করলে, তাদের গাড়ির চাকা লাগিয়ে তাকে অনুসরণ করতে থাকে। এরপর নির্জন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে গাড়িসহ ডাকাতি করে।

    পুলিশ জানায় এভাবে চক্র দুইটি প্রায় বিশ বছর ধরে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা আছে গড়ে ১৫টি করে। গত এক মাসে একাধিক যানবাহনে ডাকাতি করে মালামাল লুটে নিয়েছে। ডাকাতির ঘটনায় কুমিল্লা ও ঢাকায় মামলাও হয়েছে। ওইসব মামলায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও এখনো পলাতক আছে চক্রের আরও ১১ সদস্য।

    এ বিষয়ে ডিবির মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার রাজীব আল মাসুদ গণমাধ্যমমকে বলেন, ব্যাংকের ভেতরে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরাঘুরি করা লোকজনকে নজরদারিতে নিয়ে আসতে হবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে। আর পথে পুলিশ পরিচয়ে কাউকে গতিরোধ করলে ভয় না পেয়ে তার পরিচয়পত্র যাচাই করে দেখতে হবে।

    আরইউ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…