কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে দ্বিতীয় মেয়াদে টানা ভারি বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী ঢলে বারোমাসিয়া নদীর তীব্র ভাঙনে শতাধিক পরিবারের ঘর-বাড়ী হুমকির মুখে। সেই সঙ্গে নদীর তীব্র ভাঙনে ব্রীজ ও কাঁচা-পাকা দুটি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে গোরকমন্ডল এলাকার বারোমাসিয়া নদীর তীব্র ভাঙনে শতাধিক পরিবারের ঘর-বাড়ী ও ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার চরম দুচিন্তায় দিন পাড় করছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গোরকমন্ডলের ভাঙন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বারোমাসিয়া নদীর তীব্র ভাঙন দেখা গেছে। ভাঙন এলাকার ব্রীজের পাড় থেকে শ্যামল মেম্বারের বাড়ী যাওয়া গ্রামীণ কাঁচা সড়ক ও ব্রীজের মোকাসহ পাঁকা সড়কটির কাছাকাছি স্থানে ভাঙন চলে আসায় ঝুঁকিতে রয়েছে। দ্রুত ভাঙন ঠেকাতে না পারলে সড়ক দুটির বড় বড় অংশ ভেঙে যাওয়া ও নদী সংলগ্ন শতাধিক পরিবার নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ওই এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়রা বারোমাসিয়া নদীর ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
মিনতি রানী ও বাসন্তীয় রানী জানান, ইতেমধ্যে দুটি পরিবার নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে গেছে। আমরাসহ প্রায় শতাধিক পরিবার হুমকির মুখে আছি। সেই সাথে হুমকির মুখে রয়েছে আমাদের চলাচলের সড়কটিও।
নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হাছেন আলী ও ইউপি সদস্য শ্যামল চন্দ্র মন্ডল জানান, টানা কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী ঢলে বারোমাসিয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কাঁচা গ্রামীণ সড়কটি ও শতাধিক পরিবার হুমকির মুখে রয়েছে। আমরা উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং কর্তৃপক্ষের নিদের্শে সেখানকার ১১ জন গরীব অসহায় পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে। এই দুই জনপ্রতিনিধি ভাঙন ঠেকাতে কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেহেনুমা তারান্নুম জানান, সেখানকার ভাঙনের চিত্র উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এইচএ