একটানা কয়েকদিন থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানীবাসী। বৃষ্টিতে নোংরা পানি ও ময়লা আবর্জনা প্রবেশ করে গাবতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের পাতাল সড়কটিরও (আন্ডারপাস) বেহাল অবস্থায় অসহনীয় ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারীরা।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গাবতলী আন্ডার পাসের ভেতরে বৃষ্টিতে দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি জমে আছে। ভেতরে বিকট দুর্গন্ধ। মাঝখানে পানি জমে থাকায় অনেকে লাফিয়ে পার হওয়ার চেষ্টা করলেও বিপাকে পড়তে হচ্ছে নারী ও শিশু পথচারীদের।
অপরদিকে, পাতাল পথটির বাইরের অংশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ময়লা-আবর্জনা। বিশেষ করে আন্ডারপাসের পূর্ব পাশে ময়লার স্তূপ জমে আছে। ছড়াচ্ছে উৎকট দুর্গন্ধ। পাতালপথের উপর ও এর আশপাশ দিয়ে পথচারীরা সড়ক পারাপার হচ্ছে ঝুঁকি নিয়ে।
আন্ডারপাসের ভেতর দিয়ে পার হওয়ার সময় সাইফুল মিলন নামে একজন পথচারী বলেন, গাবতলি আন্তঃজেলা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল একটি জনবহুল এলাকা। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলার লাখো মানুষ যাতায়াতে এই টার্মিনালকেই ব্যবহার করেন। ফলে এখানে এই আন্ডারপাসের গুরুত্বও অপরীসীম। কিন্ত দুঃখের বিষয় কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও নজরদারর অভাবে এই আন্ডারপাসটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
আন্ডারপাসের উপর দিয়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে সড়ক পারাপার হওয়ার সময় আলামিন নামে এক পথচারী বলেন, বৃষ্টির নোংরা পানি জমে থাকায় আন্ডারপাস দিয়ে রাস্তা পার হতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। তাই তাড়াতাড়ি আসার জন্য রাস্তার উপর দিয়ে পারাপার হচ্ছি।
পথচারী ইয়াসমিন আক্তার বলেন, বেশিরভাগ মানুষই রাস্তা পারাপারে সহজ পথ অবলম্বন করে। আন্ডারপাসের ভেতরে পানি জমে স্যাঁতস্যাঁতে ও চরম পিচ্ছিল হয়ে গেছে। তাই মানুষ আন্ডার পাসের উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে সড়ক পারপারে বাধ্য হচ্ছে। যদি আন্ডারপাস ছাড়া রাস্তা পারাপারের অন্য কোনো উপায় না থাকে তাহলে সবাই আন্ডারপাস ব্যবহার করবে।
ডিএনসিসি অঞ্চল-৪ এর এক কর্মকর্তা বলেন, গাবতলী আন্ডারপাসের এসমস্যা নিরসনসহ এর ব্যবহার সুনিশ্চিতকরণ এবং প্রয়োজনীয় উন্নয়নের করণীয় সকল ব্যবস্থা খুব শিঘ্রই গ্রহণ করা হবে। আন্ডারপাসে দুই শিফটে নিরাপত্তাকর্মী দেয়া হবে। সড়কের মাঝের ডিভাইডারে উঁচু করে রেলিং সিস্টেম করা হবে। এছাড়াও ডিভাইডারের মাঝের ফাঁকা অংশ বন্ধ করে দেয়া হবে, যাতে পথচারীরা আন্ডারপাস ছাড়া রাস্তা পারাপার করতে না পারে।
এইচএ