এইমাত্র
  • বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৭২ লাখ ভিডিও সরিয়েছে টিকটক
  • যশোর প্রেসক্লাবের সামনে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
  • যুক্তরাষ্ট্রে কার্যকর কোনো প্রেসিডেন্ট নেই: ইলন মাস্ক
  • অষ্টম দিনের মতো চলছে পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মবিরতি
  • চার বিভাগে টানা ৩ দিন ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস
  • ভবন নির্মাণের মাটি খুঁড়তে গিয়ে মিলল পরিত্যক্ত গ্রেনেড
  • মেঘনা নদীতে ড্রেজার ডুবে নিখোঁজ ৫
  • এবার অবসরের ইঙ্গিত দিলেন ডি মারিয়া
  • দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
  • গজারিয়ায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ
  • আজ সোমবার, ২৪ আষাঢ়, ১৪৩১ | ৮ জুলাই, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    সৌদিতে অগ্নিকাণ্ডে নিহত নওগাঁর ৩ জন, পরিবারে শোকের মাতম

    আব্দুল মান্নান, নওগাঁ প্রতিনিধি প্রকাশ: ৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৩০ পিএম
    আব্দুল মান্নান, নওগাঁ প্রতিনিধি প্রকাশ: ৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৩০ পিএম

    সৌদিতে অগ্নিকাণ্ডে নিহত নওগাঁর ৩ জন, পরিবারে শোকের মাতম

    আব্দুল মান্নান, নওগাঁ প্রতিনিধি প্রকাশ: ৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৩০ পিএম

    সৌদি আরবের রিয়াদের মুসাসানাইয়া এলাকায় একটি সোফা তৈরির কারখানায় আগুনে পুড়ে চার বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার রয়েছেন তিনজন।

    বুধবার সৌদির স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা নাগাদ আগুনের এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন নিহতদের স্বজনরা। এ খবর পাওয়ার পর থেকে এই তিন জনের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।

    নিহতদের মধ্যে আত্রাই উপজেলার তেজনন্দি গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে ফারুক হোসেন (৪০), দিঘা স্কুলপাড়া গ্রামের কবেজ আলীর ছেলে শুকবর রহমান (৪০) এবং শিকারপুর গ্রামের সাহাদ আলীর ছেলে এনামুল হোসেন (২৫)

    বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকালে তেজনন্দি গ্রামের ফারুক হোসেনের বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের লোকজন, পাড়া-প্রতিবেশী এবং আত্মীয় স্বজন ও শুভাকাঙ্খিরা ভীড় করে আছেন। গ্রাম জুড়েই যেন শোকের মাতম বয়ছে। ফারুকের স্ত্রী-দুই সন্তানকে যেন কেউ থামাতেই পারছেননা। বার বার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন।

    ফারুকের ভাতিজা পিন্টু আলী জানান, চাচা ফারুক হোসেন গার্মেন্টসে কাজ করতেন। গত প্রায় ৬বছর আগে ধার-দেনা করে সৌদি আরবে যান। কিন্তু যাবার পর থেকেই সেখানে নানা সমস্যার মধ্যে পড়ে যায়। গত প্রায় ৮মাস হচ্ছে স্থায়ীভাবে সোফা তৈরির কারখানায় কাজে যোগদান করেছেন। এরই মধ্যে বুধবার রাত ১০টা নাগাদ মোবাইল ফোনে জানতে পারেন কারখানায় আগুনে ফারুক নিহত হয়েছেন।

    উপজেলার দিঘা গ্রামের নিহত শুকবর আলীর জামাই বিদ্যুত হোসেন বলেন, তার শ্বশুর কৃষি-শ্রমিক ছিলেন। গত আড়াই বছর আগে একমাত্র সম্বল ১১শতক জায়গা বিক্রি করে তার সাথে ধার-দেনার টাকায় সৌদি আরবে যান। এখন পর্যন্ত ধার-দেনার টাকা শোধ করতে পারেননি।

    শুকবরের দুই ছেলে এক মেয়ে। ছেলেদের মধ্যে বড় ছেলে শামিম হোসেন প্রতিবন্ধি। তার মাথা গোঁজার একমাত্র বাড়ীর তিন শতক জায়গা ছাড়া আর কোন জমি নেই। কিভাবে শ্বাশুড়ী, শ্যালকদের নিয়ে চলবেন তা নিয়ে ঘোর বিপাকে পড়েছেন। শশুর শুকবর আলীই ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।

    শিকারপুর গ্রামের নিহত যুবক এনামুলের চাচা জাহিদুল ইসলাম জানান, এনামুল গার্মেন্ট শ্রমিক ছিলেন। অনেকটা সুখের আসায় ধার-দেনা করে সৌদি আরবে যান। সেখান থেকে কেবলমাত্র রোজগারের টাকায় ধার-দেনা শোধ করে ইটের বাড়ী নির্মাণ করছেন। বাড়ীর কাজ শেষ হলে আগামী বছর নাগাদ দেশে এসে বিয়ে করার কথা ছিলো। কিন্তু সেটা তার ভাগ্যে সইলনা। বুধবার রাত অনুমান সাড়ে ১০টা নাগাদ আগুনে পুড়ে মারা যাবার খবর আসে। তখন থেকেই একমাত্র ছেলেকে হারানোর শোকে বাবা-মা পাথর হয়ে পরেছেন। কিছুতেই যেন তাদেরকে বুঝ দিয়ে থামানো যাচ্ছেনা।

    নিহতদের তিন পরিবার থেকেই দ্রুত মরদেহ দেশে আনতে সরকারের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।

    এ ব্যাপারে আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাস বলেন, সৌদি আরবে আগুনে পুড়ে তিনজনের নিহতের খবর পেয়েছি। তাদের পরিবারের খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। এছাড়া নিহতদের মরদেহ দেশে ফেরাতে এবং সরকারী কোন সুযোগ সুবিধা থাকলে তা সহায়তা করতে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…