মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত নাজমা জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিনু আক্তার এর বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসায় গর্ভপাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গজারিয়া উপজেলার জামালদী বাস স্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত অভিযুক্ত স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে ১৪ জুলাই রবিবার সকাল ৭ ঘটিকার সময় ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী বিথী আক্তার ১৪ জুলাই গুরুতরও অসুস্থ থাকায়, ভুল চিকিৎসার সংবাদটি ১৫ জুলাই সোমবার সকালে এলাকায় জনসম্মুখে প্রকাশ পায়।
বিথী আক্তার এর স্বামী রমজান মিয়া জানান, আমার স্ত্রী শনিবার দিনে নদীর পাড়ে গোসলের সময় পড়ে গিয়ে আঘাত পায়। রাতে প্রচন্ড ব্যথা শুরু হয়। রবিবার ১৪ জুলাই সকালে তাকে এই হাসপাতালে এনেছে। আমি বাড়িতে ছিলাম না।
হাসপাতালে ভর্তির পর মোবাইলে আমি অবগত হয়েছি। আমার স্ত্রী কত মাসের গর্ববতী বিষয়টি অজানা ছিল। হাসপাতালে ভর্তির আগে কোন ডাক্তার দেখানো হয় নাই। হাসপাতাল মালিক মিনু আক্তার জানান মাকে বাঁচাতে গর্ভপাত ছাড়া পথ নেই। সেই সময় আমি চিকিৎসার অনুমতি দিয়েছি।
এলাকাবাসীর মতে অভিযুক্ত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিনু আক্তার উপজেলা পরিবার পরিকল্পনার অবসরপ্রাপ্ত মাঠকর্মী। স্বামী আব্দুর রহমান অবসরপ্রাপ্ত সহকারী মেডিকেল অফিসার। নিজের দেয়া নাজমা জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের গর্ভবতী মায়ের সিজারিং অপারেশন চলছে যথাযোগ্য ডাক্তার বিহীন।
অধিকাংশ অপারেশন হচ্ছে শুধুমাত্র সার্জন ও আন্সথেসিয়া ডাক্তার এবং মিনু আক্তার উপস্থিতিতে। কিছুদিন পরপরই ঘটছে ভুল চিকিৎসার ঘটনা।অভিযুক্ত ভাইস চেয়ারম্যান মিনু আক্তার গণমাধ্যম কর্মীদের জানান রোগী আমাদের আগে অন্যত্র চিকিৎসা হয়েছে।
সমস্যা কোথায় কখন শুরু হয়েছে জানা নাই। রোগীকে বাঁচাতে গর্ভপাত করা হয়েছে। গর্ভপাতে গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ বিষয় জবাব এড়িয়ে যান। কোন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা মিটিং আছে বলে , সময় দেয়া যাবেনা জানান সংবাদ কর্মীদের।
গর্ভপাত রোগীকে চিকিৎসা দেয়া ডাক্তার সার্জন মাহবুব হাসান জানান আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট অনুসারে গর্ভবতী হয়েছে ১৯ সপ্তাহের অধিক সময় । হাসপাতাল মালিক মিনু আক্তার রোগীর জরায়ু ফেটে গেছে বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার সুমাইয়া ইয়াকুব জানান, বাংলাদেশে গর্ভপাত করার আইন নেই। ১২ সপ্তাহ পর যদি গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নির্দেশনা থাকে তাহলে গর্ভপাত করা যাবে। অভিযোগ হলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি দেখব।
সিভিল সার্জন ডাঃ মনজুরুল আলম জানান, আমাদের নির্দেশনা পরিষ্কার। সরকারি নিয়ম নীতি অনুযায়ী অপারেশন বোর্ডে যথাযথ যোগ্য ডাক্তার উপস্থিত থাকতে হবে।
গজারিয়ায় যে সমস্ত স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান আছে। হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোর নিবন্ধন নিশ্চিত করা হয়েছে। চলিত অর্থ বছরের লাইসেন্স ও থাকতে হবে এবং চিকিৎসার মান উন্নয়নে নজরধারী থাকবে। কোন প্রতিষ্ঠানে এই প্রক্রিয়া ব্যর্থ ঘটলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমআর