জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। সোমবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কোটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য ও সারাদেশে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সাড়ে ৭টার দিকে বঙ্গবন্ধু হলের কাছে পৌঁছালে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অপরদিক বটলতা থেকে মিছিল নিয়ে তাদের বাধা দেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ইটপাটকেল ছোড়াছুড়িতে অন্তত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রিজওয়ানুর রহমান।
তিনি বলেন, রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ২০ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় অবস্থান করছিলেন। আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে দিয়ে বটতলার দিকে আগাতে গেলে হামলার শিকার হন। এই হামলায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন জাবি ছাত্রলীগের সভাপতি আখতারুজ্জামান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আরিফ সোহেল বলেন, আমরা একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু হল এলাকায় আসলে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আগে থেকেই লাঠিসোঁটা নিয়ে প্রস্তুত ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আগে থেকে জানা সত্ত্বেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে৷
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. আলমগীর কবির শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা এখানে উপস্থিত হওয়ার আগেই তারা ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
এমএইচ