কোটাবিরোধী আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে থানা থেকে ছাড়িয়ে এনেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা
বুধবার দুপুরে নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষক সমাজের ব্যানারে শিক্ষকরা খবর পেয়ে তাদের নিয়ে আসেন।
পরে অপরাজেয় বাংলায় এক সমাবেশে একজন শিক্ষক বলেন, দুজন ছাত্র সেখানে (শাহবাগ থানায়) ছিল। জোর করে স্বীকারোক্তিমূলক একটি ভিডিও নেওয়া হয়েছে এই বলে যে সে সরকার পতনের আন্দোলনে ছিল। এ ধরনের নিপীড়ন অত্যাচার চলছে। এটাতো আসলে নতুন কোন কিছু না। এই নিপীড়ন আকাশ থেকে পড়েনি। বছরে পার বছর এই নিপীড়ন চলেছে ক্যাম্পাসে। বিশ্বের কোন সভ্য দেশে এটা কল্পনা করা যায় না যে একটা ক্যাম্পাসে প্রতিদিন একটা ছাত্র নিপীড়িত হয়।
শিক্ষকেরা হলগুলো নামে মাত্র চালায় নামে অভিযোগ করে তিনি বলেন, হল চালায় আরেকজন ছাত্র এবং তার কথাতেই শিক্ষার্থীদের জীবন ধারণ করতে হয়।
আটককৃত এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আহত অবস্থায় পুলিশ আমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রাতের অন্ধকারে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে আমাকে কারও সাথে কোন ধরনের যোগাযোগ করার সুযোগ দেওয়া হয় নাই। পরে আমি এক ডাক্তারকে ইশারা করে ডেকে আমার ফ্যামিলির একটা নম্বর দিই। সেখান থেকে আমাকে এখানে (শাহবাগ থানায়) নিয়ে আসা হয়। এটাই অনেক বেশি।‘
এ সময় সেখানে উপস্থিত ঢাকা বিশ্ব আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা থানা থেকে যতটুকু জেনেছি, আমাদের ছাত্ররা বলেছে, থানায় তাদের ওপর ফিজিক্যাল অত্যাচার হয় নাই। কিন্তু ছাত্রদেরকে এভাবে যোগাযোগ করতে না দিয়ে আটক করে রাখা একটা মেন্টাল টর্চার। আমি মনে করি যারা গুলি করে, যারা মানুষ মারে তাদেরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে না। যারা আক্রান্ত হয় তাদেরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এটাই হয়ে গেছে বাংলাদেশের চেহারা, এটা দুঃখজনক।‘
এসএফ