কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সংঘর্ষে নিহত ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী সবুজ আলীর মরদেহের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী ও পরে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
বুধবার বিকেল ৩টা ৩৮ মিনিটে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় আওয়ামী লীগের সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী মোজাম্মেল হক, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) মধ্যরাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানিয়ে ছিলেন, বিকেল সোয়া ৫টায় এক যুবককে দুই পথচারী উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন। পরে চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন। তাৎক্ষণিক ওই যুবকের পরিচয় পাওয়া না গেলেও মধ্যরাতে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট এসে তার পরিচয় শনাক্ত হয়।
সবুজ আলী ঢাকা কলেজের ১৮-১৯ সেশনের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি নর্থ হলের ২০৫ নম্বর রুমে থাকতেন। সবুজের বাবার নাম বাদশা মিয়া। তার বাড়ি নীলফামারী জেলার সদর থানা এলাকায়। সবুজ আলীকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছে ছাত্রলীগ। এ ঘটনায় শোকবার্তার পাশাপাশি প্রতিবাদ জানায় ক্ষমতাসীন দলের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনটি।