ভোলার চরফ্যাসনে জমিজমা বিরোধ নিয়ে মো. সিরাজ উদ্দিন(৫৫) নামের এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এঘটনায় নিহত সিরাজের পরিবারের আরোও তিনজন আহত হয়েছেন। পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছেন।

বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় দুলারহাট থানার নীলকমল ইউনিয়নের চর যমুনা গ্রামের এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।

দুলারহাট থানা পুলিশ চরফ্যাসন হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা মর্গে পাঠিয়েছেন। নিহত সিরাজ উদ্দিন ওই গ্রামের মৃত জেবল হকের ছেলে।

বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের ছেলে বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ৬ জনসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে দুলারহাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ ঘটনায় জড়িত আবদুল বারেক নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছেন।

পুলিশ ও মামলা সুত্রে জানাযায়, নিহত সিরাজ উদ্দিন ও আবদুল বারেক তারা একই বাড়িতে বসবাস করেন। উভয় পরিবারের মধ্যে পূর্ব থেকেই জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলমান রয়েছে। এনিয়ে বুধবার রাত সাড়ে ১০ টায় উভয় পরিবারের মধ্যে মারামারির শুরু হয়। এসয়ম আবদুল বারেকের পরিবারের সদস্যরা দলবল নিয়ে সিরাজ উদ্দিনের পরিবারের ওপর হামলা চালিয়ে কাপড় কাটা কেঁচি ও দা দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে সিরাজ উদ্দিন,তার ভাই আবদুল মালেক, মো. বেল্লাল ও মো. রুহুল আমিনকে আহত করেন। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় সিরাজ উদ্দিনসহ অপর আহতদের উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বৃদ্ধ সিরাজ উদ্দিনকে মৃত ঘোষনা করেন।

নিহতের ছেলে হাসনাইন জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ক্ষততার প্রভাব খাটিয়ে আবদুল বারেকসহ তার পরিবারের সদস্যর আমাদের খরিদা ৮০ শতাংশ জমি জবর দখল করে ছিলেন। সকালে তারা তাদের ওই খরিদা জমি ছেড়ে দিতে বলেন। এ নিয়ে রাতে তাদের সাথে তর্ক বাধে। ওই তর্কের জের ধরে রাতে আবদুল রারেক, তার ছেলে বাবুলসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করেন।

একজনকে গ্রেপ্তারের পর অপর অভিযুক্তরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।

দুলারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, এঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত আবদুল বারেক নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। অপর আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।